লন্ডনে ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস হঠাও’ আন্দোলনে বিপাকে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতারা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে লন্ডন থেকে আন্দোলন শুরু করেছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। তবে আন্দোলনের অংশ হিসেবে পূর্ব লন্ডনের ক্যানন স্ট্রিটে লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহের সম্মুখীন হয়েছেন দলের সিনিয়র নেতা ও সাবেক দুই মন্ত্রী—আব্দুর রহমান ও শফিকুর রহমান।
২ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের বাংলা পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এ সংক্রান্ত দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান একটি সুইটস শপে লিফলেট বিতরণের চেষ্টা করেন, তবে দোকান মালিক তাতে কোনো আগ্রহ দেখাননি। আব্দুর রহমান অনেকবার অনুরোধ করেও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে শেষে বিরক্ত হয়ে দোকান থেকে বের হয়ে আসেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগের চলমান রাজনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহ ড. ইউনূস ইস্যুতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবস্থান নিয়ে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এরপর তারা দল বেঁধে আরেকটি ক্যাফেতে প্রবেশ করেন। সেখানে কাউন্টার থেকে ব্যবসায়ী সরে দাঁড়ান। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতা ব্যারিস্টার মঞ্জুরুল ইসলাম দোকানদারের জায়গায় দাঁড়িয়ে লিফলেট গ্রহণ করেন। ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহের ফলে দলীয় নেতা-কর্মীরা পরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফটোসেশন করেন।
এদিকে, ‘ইউনূস হঠাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগানে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে একটি সমাবেশের ডাক দিয়েছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?