নির্বাচনের আগেই জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে গণ-হত্যার বিচার দাবি করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘বিগত সময়ে যারা (আওয়ামী লীগ) মানুষ হত্যা করেছে, তাদের বিচার আগে নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে নির্বাচন আরও বিলম্বে দেওয়া হোক।’
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দলীয় কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘জামায়াত যদি ক্ষমতায় যায় শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে। অনেক দেশে পড়াশোনা শেষেই চাকরির ব্যবস্থা হয়ে যায়। আমরা শিক্ষাকে গুরুত্ব দেব। নৈতিক শিক্ষা গুরুত্ব পাবে। শিক্ষা শেষে সনদের সঙ্গে সঙ্গে যেন যোগ্যতা অনুযায়ী মর্যাদাপূর্ণ কাজ পাওয়া যায়, সেটার ব্যবস্থা করব।’
আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে জামায়াত আমির বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছর অনেকেই ক্ষমতার দাপিয়ে বেরিয়েছেন। আমাদের ভিসা, টিকিট ছাড়া দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলা হতো। যারা এসব বলতেন তারাই ভিসা ও টিকিট ছাড়া দেশ ছেড়েছেন। আমরা বলি, ফিরে এসে দেখেন দেশের কী করে গেছেন, বারোটা বাজিয়ে গেছেন।’
‘আমাদের সন্তানেরা রাস্তায় নেমে ন্যায়বিচার চেয়েছে, তারা বৈষম্যহীন সমাজ চেয়েছেন। এত রক্ত দিয়ে যারা আমাদের মুক্ত পরিবেশ দিয়েছে, তাদের স্বপ্নপূরণ করতে হবে। তারা পচা সমাজ চায় না। তারা শ্রেষ্ঠ সমাজ চায়। তাই পরস্পরকে সম্মান ও মর্যাদা দিয়ে বৈষম্যহীন, মানবিক দেশ গড়তে হবে। জামায়াতে ইসলামী সেই দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এগুচ্ছে।’
জামায়াত ধর্ম, বর্ণের ভিত্তিতে বিভাজনে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘মেজরিটি, মাইনরিটি বলে কোনো বিষয় নেই। সংবিধান সবাইকে সমান অধিকার দিয়েছে। আমরা সবার সম্মান ও মর্যাদায় বিশ্বাসী।’
জামায়াতের আমির তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমরা চাই না, দেশে একটা পরিবর্তন হলে বিভিন্ন উপাসনালয়ে পাহারা বসাতে হবে। এমন একটি সামাজিক নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলতে চাই, যেখানে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, মঠ কিছুই পাহারা দিতে হবে না। তবে কিছু দুষ্টু লোকতো আছেই, যারা অপকর্ম করে। ৫ আগস্টের পর আমরা এক নাগাড়ে ১৫ দিন পাহারার ব্যবস্থা করেছি।’

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?