গাজা উপত্যকার পুনর্গঠন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একত্রিত হচ্ছেন আরব নেতারা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার টাইমস অব ইসরায়েলের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নেওয়া এবং স্থানীয় জনগণকে স্থানান্তর করার প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পরিকল্পনা আরব দেশগুলোর মধ্যে তীব্র বিরোধিতার জন্ম দিয়েছে।
সৌদি সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, আরব নেতারা ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিরোধিতা করতে এবং পুনর্গঠনের জন্য একটি বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন।
এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, অন্তত ১০টি সূত্রের বরাতে জানা গেছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে গাজার ভবিষ্যতের জন্য একটি উদ্যোগ গ্রহণের চেষ্টা চালাচ্ছে আরব বিশ্ব। এই পরিকল্পনার নেতৃত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব।
সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করছে, যা চলতি মাসে রিয়াদে আয়োজিত এক বৈঠকে আলোচনার জন্য উত্থাপন করা হবে। এই আলোচনায় গাজা পুনর্গঠনের জন্য একটি উপসাগরীয় নেতৃত্বাধীন তহবিল গঠনের পাশাপাশি হামাসকে প্রান্তিক করার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার অধীনে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে জর্ডান ও মিসরে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে কায়রো ও আম্মান তাৎক্ষণিকভাবে এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে। এই প্রস্তাবকে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ তাদের অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার কারণে সৌদি আরবের অসন্তোষ আরও বেড়েছে। কারণ, এই পরিকল্পনা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার শর্ত হিসেবে সৌদি আরব ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টি সামনে রেখেছে। যদি এই সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়, তবে রিয়াদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি সামরিক চুক্তির সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে, যা ইরানের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করবে।
এক আরব সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতোমধ্যে কমপক্ষে চারটি বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। তবে মিসরের পরিকল্পনাটি এখন আরব দেশগুলোর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এবং এই পরিকল্পনাকেই বিকল্প রূপরেখা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?