মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে ফিলিস্তিন দখলের চেষ্টা করছেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পাশাপাশি জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের ওপর ইসরাইলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে বিভিন্ন খবরে প্রকাশিত হয়েছে। হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উপস্থিতিতে ট্রাম্প এই নতুন পরিকল্পনার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গাজায় ইসরাইলি সামরিক অভিযানের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “গাজা উপত্যকা […]

ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে ফিলিস্তিন দখলের চেষ্টা করছেন ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:১৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পাশাপাশি জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের ওপর ইসরাইলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে বিভিন্ন খবরে প্রকাশিত হয়েছে। হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উপস্থিতিতে ট্রাম্প এই নতুন পরিকল্পনার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গাজায় ইসরাইলি সামরিক অভিযানের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “গাজা উপত্যকা ফিলিস্তিনিদের জন্য আর বসবাসের উপযোগী নয়, তাই তাদের জন্য আরও ভালো ও নিরাপদ একটি স্থান খুঁজতে হবে।”

পার্সটুডে জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই অবস্থান থেকে পরিষ্কার যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এর আগেও ট্রাম্প বলেছিলেন যে গাজার ধ্বংসযজ্ঞ পুনর্গঠনের জন্য ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরিত করা উচিত। তবে এবার তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে গাজার ওপর সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব দাবি করেছেন এবং ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত এই ছোট ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ইসরাইলের দখলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

ট্রাম্প, যিনি একসময় ভবন নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মানবিকতার অজুহাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চাইছেন। তবে তিনি গাজার জনগণের মতামত নেওয়ার কোনো প্রয়োজন বোধ করছেন না। বরং তার প্রশাসন গাজার ২৫ লাখ অধিবাসীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে, ৩০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত পশ্চিম তীরকে ১৯৪৮ সালে ইসরাইলের দখলকৃত ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করার সম্ভাবনার কথাও ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনায় রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। গাজা ও পশ্চিম তীরের জনগণের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখন অনেকটাই নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়ার ওপর। তবে স্পষ্টতই, ট্রাম্প প্রশাসন ইসরাইলের সর্বোচ্চ স্বার্থ নিশ্চিত করতে এবং ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী ভূমির নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে হাতছাড়া করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

4o

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই ইচ্ছা থেকে বোঝা যায়, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের চিন্তাভাবনা থেকে বর্তমান মার্কিন প্রশাসন সরে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং এটাও বোঝা যায় তারা অবশিষ্ট ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলো দখল করবে।

অবশ্য, এখন পর্যন্ত সমস্ত আরব দেশ সর্বসম্মতভাবে ট্রাম্পের গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের মিশর এবং জর্ডানে স্থানান্তরিত করার ধারণার বিরোধিতা করেছে। তবে, এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে যে, ট্রাম্প আরব দেশগুলো বিশেষ করে মিশর ও জর্ডানের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি হুমকির ভাষাও প্রয়োগ করবে। অন্য কথায়, যদি মার্কিন সেনাবাহিনীকে গাজায় পাঠানো হয় এবং এ অঞ্চলের উপর দখল দরিত্ব কায়েম করে এবং লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনিকে মিশরে প্রবেশ করতে বাধ্য করা হয়, তাহলে কায়রো এ পদক্ষেপ ঠেকানোর সাহস পাবে না।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ৮০ বছর ধরে দখলদারিত্ব, যুদ্ধ এবং হত্যাযজ্ঞের মুখেও যে ফিলিস্তিনি জাতি তাদের ভূমি মুক্ত করার আদর্শ ত্যাগ করেনি, তারা চুপ থাকবে না এবং মার্কিন দখলদারিত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। অতএব, পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনিদের জন্য শান্তিপূর্ণ জীবন প্রদানে ট্রাম্পের দাবির বিপরীতে, নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসলে পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে নতুন যুদ্ধের আগুন জ্বালাতে চাইছেন, যার আগুন কেবল এই অঞ্চলের দেশগুলোকেই পোড়াবে না ইসরাইলকেও জ্বালিয়ে দেবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন লাখ লাখ ফিলিস্তিনির উপর অবিচার নির্যাতন দূর হবে এবং তারা তাদের স্বপ্নের দেশ অর্জন করবে, কেবল তখন ফিলিস্তিনের ভূমিতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রকৃতপক্ষে, গাজায় মার্কিন মালিকানার দাবী কিংবা পশ্চিম তীরের উপর ইসরাইলি সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে মূলত ফিলিস্তিন  ইস্যুকে চিরতরে মুছে ফেলার চক্রান্ত চলছে।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ১৯২১

আন্তর্জাতিক

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় দুই সেনাসহ নিহত ১৪

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন। এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:১২

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন।

এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন সেনা সদস্যও আহত হয়েছে। তাদরেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা কর্মীদের একটি দল যখন মাওবাদী বিরোধী অভিযান চালাচ্ছিলেন, তখন সকালের সময় ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান এলাকার একটি ঘন জঙ্গলে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বন্দুকযুদ্ধে ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে।”

তিনি যোগ করেন, যে এলাকায় একটি বিরতিহীন গুলি বিনিময় এখনও চলছে, আরও বিশদ বিবরণের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ, এবং কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক সুন্দররাজ পি, নিশ্চিত করেছেন যে এনকাউন্টারে নিহত একজন জওয়ান ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং অপরজন মাওবাদী বিরোধী অভিযানে বিশেষজ্ঞ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) রাজ্য-স্তরের সদস্য ছিলেন।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ১৯২১

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভারতের জন্য জটিলতা তৈরি করেছে: শশী থারুর

ভারতের কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও পার্লামেন্ট সদস্য শশী থারুর বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য ভারতের জন্য কিছুটা জটিলতা তৈরি করেছে। তিনি মনে করেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা। সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাবে এক বইয়ের […]

নিউজ ডেস্ক

১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২:১৭

ভারতের কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও পার্লামেন্ট সদস্য শশী থারুর বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য ভারতের জন্য কিছুটা জটিলতা তৈরি করেছে। তিনি মনে করেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা।

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাবে এক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শশী থারুর বাংলাদেশ ইস্যুকে ‘স্পর্শকাতর’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, প্রতিবেশী দেশটিতে যদি শত্রুভাবাপন্ন সরকার ক্ষমতায় আসে, তবে ভারত বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। আমাদের উচিত, বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা সম্প্রদায়ের প্রতি উদ্বেগের চেয়ে বাংলাদেশের জনগণের সার্বিক কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা।

তিনি আরও বলেন, একটি নির্দিষ্ট দেশ কে শাসন করবে, তা ভারত নির্ধারণ করতে পারে না। বরং আমাদের উচিত যেকোনো সরকারের সঙ্গে কাজ করার কৌশল রপ্ত করা।

বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে শশী থারুর বলেন, আমি মনে করি না যে তাদের শত্রুভাবাপন্ন বলা যায়। তবে একই সঙ্গে আমাদের কিছু সতর্কতাও বজায় রাখতে হবে।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই নিবিড়ভাবে, সতর্কতার সঙ্গে বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করতে হবে, কারণ তাদের অবস্থান আমাদের ঠিক পাশেই।

শশী থারুর মনে করেন, ভারতের উচিত স্পষ্টভাবে জানানো যে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির চেয়ে পুরো দেশের মানুষের কল্যাণে বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ভারতের উচিত এটা বোঝানো যে, তারা কোনো নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর চেয়ে সমগ্র বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করতে চায়।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ১৯২১

আন্তর্জাতিক

আর গুঞ্জন নয়, দিল্লি থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো শেখ হাসিনাকে

গেল বছর ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার প্রবল গণ-আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন সাবেক পতিত শেখ হাসিনা।সেসময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মুখ ফিরিয়ে নিলেও আশ্রয় দেয় ভারত। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর বলছে ভারত শেখ হাসিনার জন্য নিশ্চিত করেছে সাদা পোশাকের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর দুই দিনের মধ্যে তাকে সড়িয়ে নেওয়া হয় দিল্লিতে। […]

আর গুঞ্জন নয়, দিল্লি থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো শেখ হাসিনাকে

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২২ মার্চ ২০২৫, ১৪:৪৭

গেল বছর ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার প্রবল গণ-আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন সাবেক পতিত শেখ হাসিনা।সেসময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মুখ ফিরিয়ে নিলেও আশ্রয় দেয় ভারত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর বলছে ভারত শেখ হাসিনার জন্য নিশ্চিত করেছে সাদা পোশাকের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী।

শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর দুই দিনের মধ্যে তাকে সড়িয়ে নেওয়া হয় দিল্লিতে। এরপর থেকে সেখানেই বসবাস করে আসছিলেন এই শেখ হাসিনা। তবে, এবার সেখান থেকেও তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঠিক কি কারণে আর কোথায় সরানো হলো হাসিনাকে?

এর আগেও দিল্লি থেকে হাসিনাকে সরিয়ে নেওয়ার গুঞ্জন উঠেছিলো। তবে তখন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্যা প্রিন্ট তাদের একটি নিউজে হাসিনার দিল্লির অবস্থান তুলে ধরে। তাদের সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী হাসিনা দিল্লির একটি বিশেষ এলাকার নিরাপত্তা বেষ্টিত একটি বাড়িতে অবস্থান করছেন।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয় হাসিনা যে এলাকায় বসবাস করছেন সেখানে ভারতীয় বর্তমান ও সাবেক অনেক এমপি মন্ত্রীদের বাড়ি রয়েছে।

তবে এবার আর গুঞ্জন নয়, বিশ্বস্ত সূত্রের খবর শেখ হাসিনাকে নিরাপত্তার ইস্যুতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দিল্লি থেকে।

দিল্লির একটি জাতীয় দৈনিকের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দিল্লি থেকে সরিয়ে হাসিনাকে স্ট্যান্ড কমান্ডের একটি নিরাপদ জোনে রাখা হয়েছে। যদিও ভারতীয় প্রসাশনের কেউ এ বিষয়ে কোন স্পষ্ট বক্তব্য এখনো পর্যন্ত দেয়নি।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ১৯২১