মোঃ ফখরুল আকন ( ঢাকা সিটি প্রতিনিধি )
গাজীপুরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষার্থী তাজবীর হোসেন শিহানকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো দোষীদের গ্রেপ্তার বা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আজ, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা শিহানের হত্যার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা এ সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন। তারা সরকারের কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও অঙ্গীকার
তাজবীর হোসেন শিহান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রিয় এবং সক্রিয় শিক্ষার্থী ছিলেন। তার নির্মম হত্যাকাণ্ডে শোকাহত বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের ভাইয়ের রক্তের দাগ শুকাবে না। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না।”
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড এবং ব্যানার নিয়ে অংশ নেন। তাদের ব্যানারে লেখা ছিল, “বিচার চাই,” “শিহানের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করো,” এবং “আমরা ন্যায়বিচার চাই।” আয়োজক শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচিকে শুধু প্রতিবাদ নয়, বরং ন্যায়বিচারের জন্য একটি অঙ্গীকার বলে মন্তব্য করেছেন।
রোববারের বড় আন্দোলনের ঘোষণা
শিহানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং হত্যার বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা আগামী রোববার দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসের সামনে আরও বড় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন। আয়োজকরা জানান, এ কর্মসূচি আরও বড় পরিসরে হবে এবং এতে অংশগ্রহণের জন্য ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সকল শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিবাদের কারণ
শিক্ষার্থীরা এ হত্যাকাণ্ডকে পূর্বপরিকল্পিত অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে এর যথাযথ তদন্ত দাবি করেছেন। তারা বলেন, “আমরা এ নির্মমতা মেনে নিতে পারি না। এটি শুধু একজন শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনা নয়, এটি আমাদের সবার নিরাপত্তার ওপর আঘাত।”
তাজবীর হোসেন শিহানের হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার এবং কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।
এই ঘটনাটি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর শোক ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। তাদের দৃঢ় বক্তব্য, বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন থামবে না।