বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকি ভট্টাচার্য তার ইউটিউব চ্যানেলে বিশদ আলোচনা করেছেন। তিনি দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট, ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সংঘাত এবং বিএনপি ও আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন।
পিনাকি ভট্টাচার্যের মতে, বর্তমান সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুস আসীন হবেন। তিনি মনে করেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুপরিচিত এই ব্যক্তিত্বের প্রতি বিদেশি সংস্থাগুলোর আস্থা থাকায় তারা কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে তার সরকারকে সহায়তা করবে। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের জন্য রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ভারতের প্রেসক্রিপশনে চলছে এবং তারা দিল্লির সমর্থন পেয়েই টিকে আছে। কিন্তু বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সেই সমর্থন কতটুকু কার্যকর থাকবে, তা নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
পিনাকি ভট্টাচার্য বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়েও সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপি ২০২৬ সালে এক গভীর সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে। দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা ও সংঘাতের পাশাপাশি পোশাক, কৃষি, অর্থনীতি ও ওষুধ শিল্পে সম্ভাব্য সংকট দেখা দিতে পারে, যার জন্য বিএনপি যথাযথ প্রস্তুতি নেয়নি।
তিনি মনে করেন, বিএনপির কাছে এই সংকট মোকাবিলার জন্য সুস্পষ্ট কোনো রূপরেখা নেই, যা তাদের জন্য ভবিষ্যতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
পিনাকি ভট্টাচার্য দাবি করেন, বিএনপি ভারতের সঙ্গে সমঝোতা করে আগামী নির্বাচনে যেতে চায় এবং সেই মোতাবেক আওয়ামী লীগকে সমর্থন ও পুনর্বাসন করছে। তার মতে, ভারতীয় আধিপত্য বজায় রাখতে ভারত আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের মাঠে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে, আর বিএনপি ক্ষমতার আশায় ভারতের সঙ্গে মধ্যস্থতা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বিএনপিকে সতর্ক করে বলেন, “এখন আওয়ামী লীগ-ভারতের বাসর চলছে, আওনারা ঐখানে ঢোকার চেষ্টা করবেন না। ভারতকে আপনারা এখনো চিনতে পারেন নাই।” তার মতে, ভারত বিএনপিকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করলেও শেষ পর্যন্ত তাদের জন্য রাজনৈতিক কোনো সুবিধা নিশ্চিত করবে না।
পিনাকি ভট্টাচার্যের এসব ভবিষ্যদ্বাণী বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বর্তমানে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি শক্তিগুলোর ভূমিকা, অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক কৌশল কীভাবে পরিবর্তিত হয়, তা-ই ঠিক করবে আগামী দিনের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি।
এখন দেখার বিষয়, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কীভাবে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করে আগামীর রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে। জনগণের প্রত্যাশা, দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে দুই দলই যথাযথ কৌশল গ্রহণ করবে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?