জাবি প্রতিনিধি:
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো রেজিস্ট্রেশন পাওয়া সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ করার দাবিতে আন্দোলনরত মাদ্রাসার শিক্ষকদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটার প্রতিবাদে এবং ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একদল শিক্ষার্থী।
রবিবার ( ২৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে বটতলা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) জাবি শাখার সংগঠক সজীব আহমেদ।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের “চব্বিশের চেতনা, পুলিশি রাষ্ট্র না”, “বাহ পুলিশ চমৎকার, সন্ত্রাসবাদের তাবেদার”, “ছাত্র-শিক্ষক-জনতা, গড়ে তোলো একতা”, “টাকা যার শিক্ষা তার, এই নীতি মানি না”, “মাদ্রাসা শিক্ষার জাতীয়করণ, করতে হবে করতে হবে”, “শিক্ষার আর্থিক দায়িত্ব, রাষ্ট্রকে নিতে হবে” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি তাপসী বলেন, ‘পুলিশের সংস্কারে স্বৈরাচারী কাঠামো থেকে বের হওয়া জরুরি। কিন্তু এখনো সেটি হয়নি। পুলিশ একদিকে কিছু মিছিলকে সুরক্ষা দিচ্ছে, অন্যদিকে অন্য মিছিলে জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড এবং টিয়ারশেল প্রয়োগ করছে। কোনো সভ্য রাষ্ট্রে এমন বলপ্রয়োগ অগ্রহণযোগ্য। আমরা ঢাকায় মাদ্রাসা শিক্ষকদের উপর পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের একাংশের সভাপতি অমর্ত্য রায় বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম হাসিনা সরকারের পতনের পর নিপীড়নের চিত্র আর দেখব না। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পরও সেই নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। শ্রমিকরা মজুরির দাবিতে রাস্তায় নামলে তাদের উপর গুলি এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশি বাহিনীর কাঠামোগত সংস্কার এখনো হয়নি, এবং হামলায় জড়িত পুলিশদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না। যদি এ সরকার জনগণের দাবি উপেক্ষা করে, তাহলে ছাত্র-শিক্ষক ও জনতা মিলে এ সরকারকেও বিদায় করতে বাধ্য হবে।