সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

শিক্ষাঙ্গন

মাদকসেবিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যবিপ্রবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল

যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ  যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শহীদ মসীয়ূর রহমান (শ.ম. র.) হলে মাদকসেবন বন্ধে ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টায় এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে শ. ম. র হলের ৩য় তলার একটি কক্ষ থেকে দীর্ঘ সময় […]

মাদকসেবিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যবিপ্রবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল

মাদকসেবিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যবিপ্রবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল

প্রতিনিধি ডেস্ক

২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২২:৪২

যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ 

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শহীদ মসীয়ূর রহমান (শ.ম. র.) হলে মাদকসেবন বন্ধে ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টায় এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে শ. ম. র হলের ৩য় তলার একটি কক্ষ থেকে দীর্ঘ সময় ধরে গাঁজার উৎকট দূর্গন্ধ বের হতে থাকলে শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসন বরাবর অভিযোগ জানায় । এরই প্রেক্ষিতে ঐ কক্ষে অভিযান চালায় হল প্রশাসন। কিন্তু অভিযানের সময় হল প্রশাসন ঐ কক্ষ থেকে মাদকদ্রব্য না পেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজনকে সতর্ক করেন প্রশাসন। এ ঘটনা জানাজানি হলে সচেতন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ও রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে। 

এদিকে ঐদিনই মাদক দমনে তিনজন সহকারী হল প্রভোস্ট নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন শ. ম. র. হলের প্রভোস্ট ড. মোঃ মজনুজ্জামান। 

বিক্ষোভ মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে যেইখানে মাদক সেবন নিষিদ্ধ সেইখানে দিনের আলোয় কিভাবে মদপান করে প্রশাসনের কাছে তার জবাব চাই। এই হলের ৫ তালা সহ বিভিন্ন রুমে মাদক সেবন করা হয়। মাদকের গন্ধে রুমে থাকা যায় না, এগুলো হলের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে। প্রশাসন কেনো এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না? এন্টি ড্রাগ সোসাইটি আছে আমাদের ক্যাম্পাসে তাদেরও কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় না। যত দ্রুত সম্ভব প্রশাসনকে এই মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বিক্ষোভ মিছিলে শ. ম. র. হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন, মাদক সেবন করলে মানুষের কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। এই মাদক মস্তিষ্ক কে ধ্বংস করে দেয়। তাই আসুন আমরা সবাই মাদক থেকে দূরে থাকি। 

যবিপ্রবি এন্টি ড্রাগ সোসাটির সদস্য সচিব আরমান বলেন, আমাদের কার্যক্রম নিয়ে যেহেতু প্রশ্ন উঠেছে তাই বলতে চাই আমাদের কাজ হচ্ছে মাদকের সম্পর্কে সকলকে সচেতন করা। পাশাপাশি আমাদের প্রশাসনকে মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান করা। হলে মাদক সেবন বিষয়ে প্রভোস্ট স্যারের সাথে কথা বলেছি তিনি আশ্বাস দিয়েছেন এর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আমরা বরাবর-ই বলে আসছি শিক্ষার্থীদের নিদির্ষ্ট সময় পর পর ডোপ টেস্ট করানোর জন্য। এটা করা গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক অনেকটাই নির্মূল হয়ে আসবে। 

ধূমপান-মাদকসেবন বন্ধের বিষয়ে শহীদ মসীয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো: মজনুজ্জামান বলেন, আমি কখনোই চাইবো না বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত হয়ে যাক। হলে যেন কেউ মাদক সেবন করতে না পারে এর জন্য আমি নতুন একটি কমিটি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করছি হলে মাদকসেবন দমন করার জন্য তারা কাজ করবে ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সারাদেশ

পূজা মন্ডপের পাশে মুসলিম শিশু ধ/র্ষ/ণ, পূজামণ্ডপের সহসভাপতি ভজেন্দ্র সরকার গ্রেফতার

পূজা চলাকালীন সময়ে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে থাকা অবস্থায় ভজেন্দ্র সরকার কৌশলে শিশুটিকে ডেকে নেয়। পরে জোরপূর্বক নিজ ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বড়ভাই ও স্বজনরা গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে

নিউজ ডেস্ক

০২ অক্টোবর ২০২৫, ০০:৩২

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার সুরাবাড়ীতে পূজা মণ্ডপের পাশে আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত ভজেন্দ্র সরকারকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতার হওয়া ভজেন্দ্র সরকার (৫৫) আশ্রয়ণ প্রকল্প পূজামণ্ডপের সহসভাপতি এবং মেঘলাল সরকারের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, পূজা চলাকালীন সময়ে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে থাকা অবস্থায় ভজেন্দ্র সরকার কৌশলে শিশুটিকে ডেকে নেয়। পরে জোরপূর্বক নিজ ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বড়ভাই ও স্বজনরা গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা ভজেন্দ্র সরকারকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। শিশুটির মা মোসা. ফাতেমা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে এবং মামলাটি দ্রুত তদন্ত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি এমন অপরাধে জড়ান, তবে তা সমাজে গভীর ক্ষোভ ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে।

শিক্ষাঙ্গন

গকসু নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর নেতৃত্বে এলেন যাঁরা

সানজিদা খানম ঊর্মি, গবি সংবাদদাতা: সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় কমিশনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে বিজয়ী […]

গকসু নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর নেতৃত্বে এলেন যাঁরা

ছবি সংগৃহীত

প্রতিনিধি ডেস্ক

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৪

সানজিদা খানম ঊর্মি, গবি সংবাদদাতা:

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় কমিশনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে বিজয়ী হয়েছেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের মো. রায়হান খান। সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয় পেয়েছেন সামিউল হাসান শোভন।

প্রায় ৭৫ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছেন এবারের নির্বাচনে। ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৬৩ জন প্রার্থী, মোট ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৭৬১ জন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে। ভোট গণনার দৃশ্য এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হলেও স্বচ্ছতা নিয়ে কিছু প্রার্থী প্রশ্ন তোলেন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, গকসুর অন্যান্য পদে বিজয়ীরা হলেন— কোষাধ্যক্ষ পদে খন্দকার আব্দুর রহিম। ক্রীড়া সম্পাদক পদে ফয়সাল আহমেদ। সহ-ক্রীড়া সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল নোমান। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো. মারুফ। সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে লীশা চাকমা।

দপ্তর সম্পাদক পদে শারমিন আক্তার। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মো. জান্নাতুল ফেরদৌস। সমাজকল্যাণ ও ক্যান্টিন সম্পাদক পদে মো. মনোয়ার হোসেন অন্তর।

কৃষি অনুষদে বিজয়ী হয়েছেন মহিউল আলম দোলন, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদে জয় পেয়েছেন মো. হুমায়ুন কবির।

কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে চারজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন শাকিল আহমেদ, মো. সেলিম আহমেদ অলি, মো. মেহেদি হাসান, মিনতুজ আক্তার মিম। 

বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদে দুজন নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন মেহেরুন খিলজি মিতু, মো. ইমদাদুল হক মিলন। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদে দুজন বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন নাশরুন সেঁজুতি অরণি ও পার্থ সরকার।

প্রসঙ্গত, দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) চালু রয়েছে ছাত্র সংসদ। ২০১৩ সালে প্রথমবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল তৃতীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।

তবে প্রশাসনের জটিলতায় নির্বাচিত সংসদ পুরো মেয়াদ কাজ করতে পারেনি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর গকসুর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সংসদ নির্বাচন।

শিক্ষাঙ্গন

ভিপিতে জিতু-আদিবের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, জিএসে এগিয়ে শিবিরের মাজহার

দীর্ঘ তেত্রিশ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে দু-দিন ধরে চলছে ভোট গণনা। ইতোমধ্যে ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের গণনা চলছে। এরই মধ্যে ৫টি হলের তথ্যে জানা গেছে, ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে স্বতন্ত্র ও শিবির সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। তবে কিছুটা এগিয়ে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন ও […]

ভিপিতে জিতু-আদিবের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, জিএসে এগিয়ে শিবিরের মাজহার

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১০

দীর্ঘ তেত্রিশ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে দু-দিন ধরে চলছে ভোট গণনা। ইতোমধ্যে ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের গণনা চলছে। এরই মধ্যে ৫টি হলের তথ্যে জানা গেছে, ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে স্বতন্ত্র ও শিবির সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। তবে কিছুটা এগিয়ে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন ও ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী। তবে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) ও এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পুরুষ ও নারী পদে এগিয়ে শিবির সমর্থিত প্রার্থীরা।

শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটা পর্যন্ত ৫টি হলের তথ্যে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

সূত্রে জানা গেছে, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও শিবির সমর্থিত প্রার্থী সমান ১২৩টি করে ভোট পেয়েছেন। এই পদে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের ভিপি প্রার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল পেয়েছেন ৫১ ভোট। এই হলে জিএস পদে শিবিরের মাজহার পেয়েছেন ২২৮ ভোট, বাগছাসের তৌহিদ সিয়াম পেয়েছেন ৪৯ ভোট। এছাড়াও নারী এজিএসে শিবির সমর্থিত আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা যেখানে ১৯৫ ভোট পেয়েছেন, বাগছাস সমর্থিত মালিহা নামলাহ পেয়েছেন ৮২ ভোট।

১০নং হলে (সাবেক শেখ মুজিব হল) ভিপি পদে জিতু ১৭৫টি, আদিব পেয়েছেন ১৩০টি ভোট।বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল কেন্দ্রে ভিপি পদে জিতু পেয়েছেন ৮৯, আদিব, ৮১ ভোট।

ওপরের দুই হলে ভিপিতে জিতু এগিয়ে থাকলেও মীর মশাররফ হোসেন হলে তাকে পেছনে ফেলেছেন আদিব। সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের এই প্রার্থী মীর মোশাররফ হোসেন হলে ১১৫ ভোট পেয়েছেন, পাঁচ ভোট কম তথা ১১০ ভোট পেয়েছেন জিতু। জিএস পদে এই হলে মাজহার ১৫৯ ভোট, সিয়াম পেয়েছেন ৪০ ভোট। এজিএসে ফেরদৌস ১৪৭টি ভোট পেয়েছেন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আয়ান পেয়েছেন ৭০ ভোট

প্রীতিলতা হলে ভিপি পদে জিতু ৬৫ ভোট, আদিব পেয়েছেন ৪৭ ভোট। উজ্জ্বল ১৭ ভোট পেয়েছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় বহুল আকাঙ্ক্ষিত জাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন। যেখানে প্রায় ১২ হাজার ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ ভোটার তথা ৮ হাজারের মতো ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তবে ভোট গণনা স্বয়ংক্রিয় মেশিনে না হয়ে হাতে গোনা পদ্ধতিতে হওয়ায় ৩৩ ঘণ্টায়ও ফল প্রকাশ করতে পারে জাকসু নির্বাচন কমিশন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোট গণনা চলমান রয়েছে।