গভীর রাতে মহিলার বাড়িতে গিয়ে বিচার করার প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যানের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনীর বেদম প্রহারে প্রতিবাদকারী মোনা শাহ নামে এক যুবক গুরুতর আহত। আহত যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা চেয়ারম্যানের ভাতিজা রাহি কে পরিষদের একটি রুমে আটকিয়ে রাখে। মুহূর্তের মধ্যে আশপাশ থেকে শত শত মানুষ ছুটে এসে পরিষদ চত্বরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করতে থাকে।
ডোমার থানা ও চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দুইটি পুলিশ টিম চার ঘন্টাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন।গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের বোর্ডবাজারে ঘটনাটি ঘটে।
কেতকীবাড়ি বোর্ড বাজারের স্থানীয়রা জানান, কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম রোমান দীর্ঘদিন থেকে মহিলা সংক্রান্ত সালিশ বিচার গুলি রাত বারোটা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিচার সালিশ করেন।
দিনের বিচার রাতে কেন এর প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যানের ভাই ভাতিজা সহ তার লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বোড বাজারে মোনা শাহকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বেদম প্রহার শুরু করে।
এ সময় বাজারের লোকজন এগিয়ে এলে হামলা কারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যানের ভাতিজা রাহি সহ দুটি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে শত শত জনতা ছুটে এসে রাত বারোটা পর্যন্ত পরিষদ চত্বরে প্রতিবাদ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু,কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাকিব হাসান প্রধান ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা আশিকুর রহমান তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে এই ঘটনার বিচারের আশ্বাস দিয়ে রাহিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের হাতে তুলে দেন।
মোনা শাহ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিলা সংক্রান্ত বিচার গুলি গভীর রাতে করেন। তেঁতুলতলা এলাকায় স্বামী স্ত্রীর বিরোধের বিচার তিনি রাত ২টায় করতে যায়।
দিনের বিচার রাতে কেন এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবাদ করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাই ভাতিজা সহ লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী দিয়ে বোর্ডবাজারে প্রকাশ্য সাইকেলের চেইন, রড, লাঠি দিয়ে বেদম প্রয়াস শুরু কর।
এ সময় বাজারের লোকজন এগিয়ে আসলে চেয়ারম্যানের বাহিনীর ছেলেরা পালিয়ে যায়। সাধারণ জনতা চেয়ারম্যানের ভাতিজা রাহি সহ দুটি মোটর সাইকেল আটক করে। রাহিকে সাধারণ জনতা পরিষদের একটি রুমে চার ঘন্টা আটক করে রাখার পরও চেয়ারম্যান ঘটনা স্থলে আসেনি।
কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম রোমান বলেন,ইউপি সদস্য ও মহিলা মেম্বার সহ স্থানীয় মানুষের চাপে তেঁতুলতলা এলাকায় স্বামী স্ত্রীর বিরোধের আপোসের বৈঠক শেষে ফেরার পথে মৃত তফেল শাহর ছেলে মোনা শাহ রাস্তার মধ্যে আমাকে আটকিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
আমাকে অপমান করার কথা শুনে কয়েকটি ছেলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বোর্ড বাজারে মোনা শাহর সাথে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে তা খুবই দুঃখজনক।
ওই ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। একটি মহল আমাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে আমার নামে মিথ্যা অপপ্রচার করিয়ে সাধারণ মানুষকে উসকিয়ে দিয়েছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?