গাজীপুরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ধরনের ‘মামলা বাণিজ্য’ চালিয়ে যাচ্ছেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস জিয়াউল হক স্বপন।
অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনের সময় সংঘটিত বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের পরিবারকে দিয়ে থানায় কিংবা আদালতে মামলা করার আবেদন তৈরি করে দিতেন তিনি।
তবে এসব আবেদনে আসামিদের তালিকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি স্থান পেতেন স্থানীয় শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও বাড়ির মালিকরাও। এমনকি নিজের দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন স্বপন।
অনেক ক্ষেত্রেই বাদীরা আসামিদের চিনতেন না। তদন্তে উঠে এসেছে, এসব মামলার খসড়ায় স্বপন ইচ্ছেমতো নাম বসিয়ে দিতেন এবং পরে মামলায় নাম বাদ দেওয়ার শর্তে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করতেন।
যারা টাকা দিতেন, তাদের নাম বাদ দিয়ে অন্যদের আসামি করতেন তিনি। এভাবে শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়, সাধারণ মানুষ এবং নিজের দলের সদস্যদেরও হয়রানির শিকার করেছেন স্বপন। বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। তদন্তের দাবি উঠেছে স্বপনের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?