সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া যা যুগের পর যুগ চলবে, তাই বলে কি নির্বাচন হবে না? এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে, কিন্তু ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে। কারণ জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আসবে না।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্হ সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে জিয়া আন্তঃ থানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ এর বানানী থানা বনাম তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের আট মাস পার হলেও এখনও পর্যন্ত অনির্বাচিত সরকার দ্বারা দেশ চলছে। আর এই সরকার দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোন স্থিতিশীলতা আনতে পারে নাই।
কারণ রাষ্ট্রের প্রত্যকটি জায়গাতে স্বৈরাচারের দোসরগুলো বসে আছে। যার ফলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজমান করছে। সুতরাং সবকিছু স্বাভাবিক এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিচারের জন্য দেশে নির্বাচন দরকার।
নির্বাচন প্রসঙ্গে বর্তমান সরকারের একটি মহলকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এই সরকারের কারো মধ্যে ক্ষমতার মোহ লেগে বসেছে। তাই তারা অনির্বাচিত অবস্থায় স্বৈরাচারের মতো ক্ষমতায় থাকতে চায়, যা এদেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না।
এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি। তাই নির্বাচন দিলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে এটা অন্তবর্তী সরকারের একটি মহল বুঝে গেছে, তাই তারা ষড়যন্ত্র করছে।
অন্তবর্তী সরকার সহ একটি গোষ্ঠী যারা নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করছে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ভুলে যাবেন না- আপনারা যদি দূর্নীতি করেন, আপনারা যদি অপরাধী হন। আপনাদেরও বিচার কিন্তু এই বাংলাদেশের মাটিতে হবে। আপনারাও কিন্তু ছাড় পাবেন না।
তাই জনগণের ভাষা বুঝুন উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, গত ১৫ বছরের ক্ষোভ ৫ আগস্টে মানুষ প্রকাশ করেছে। সেখানে মানুষের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল ভোট দিতে পারে নাই। মানুষ চায় গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?