বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সংস্কার করতে আর কত সময় লাগবে আপনাদের? বর্তমান সরকারের অনুরাগীরা বলছেন, “সংস্কার সম্পাদন না করে নির্বাচন দিলে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা সংস্কার করতে পারবে কি না সন্দেহ”। সংস্কার নিয়ে ধোঁয়াশা ও বিভ্রান্তি তৈরী করে কার লাভ হচ্ছে?
তিনি বলেন, সংস্কার হলো রাজনৈতিক অঙ্গীকার। কোন দল অঙ্গীকার করলে তারা অবশ্যই সংস্কার করবে। আপনারা সংস্কারের যে প্রস্তাব দেবেন তা নির্বাচনের পর পার্লামেন্টের মাধ্যমেই তো পাশ হবে।
শনিবার দুপুরে জিয়া পরিষদের আয়োজনে নাটোর জেলা পরিষদ অডিটেরিয়ামে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা নির্বাচনকে জাদুঘরে পাঠিয়েছিল। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল। বিএনপি জনসম্পৃক্ত দল, জনগণের পক্ষের দল। যারা বিএনপি নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে তারা আজ কোথায়!
ভারতের উদ্দেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে যারা বিশ্বাস করে না। তারা ভাবে এ দেশ তাবেদার রাষ্ট্র থাকবে। দেশ ভারতের পক্ষে থাকবে, তারা বেছে রেখেছিল তাদের আনুগত্য কে করবে।
সে কারণে একটি দুনিয়া কাঁপানো ফ্যাসিদের পতন হয়েছে। তাদের দেশে ফ্যাসিবাদ পালিয়ে গেল। এখন তারা বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তারা মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে, দেশ নাকি ধ্বংস হয়ে গেছে, দেশ নাকি আর নেই।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী এ্যাড. এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, নির্বাচনের জন্য তারেক রহমান এত বছর ধরে সংগ্রাম করছে। এ সংগ্রাম করতে বিএনপির নেতাকর্মীরা রক্ত দিয়েছে। সামনের নির্বাচনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
দীর্ঘ বছর দেশের মানুষ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। আমি এ অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ করবো, অতি শর্তে দ্রæত নির্বাচন দিন। আপনারা যত সংস্কারের কথা বলছেন, তা সব সংস্কার তারেক রহমান দিয়েছেন। আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের ভোটে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারে যেতে চাই।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?