সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের ভাতিজা ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি প্রার্থী সাব্বির হোসেনকে স্থানীয় জনতা আটক করে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে নতুন বাজারে সাব্বির হোসেনকে দেখা গেলে তাকে ঘিরে ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা। জনতার ধাওয়া এড়াতে ব্যর্থ হয়ে তিনি আটক হন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে হাতীবান্ধা থানার একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নথিভুক্ত আছে কি না, তা তদন্তে দেখা হচ্ছে। কোনো প্রভাবশালী চাপ ছাড়াই শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সাব্বির হোসেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের ভাতিজা। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বহুদিন ধরে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ পুলিশ এখনো প্রকাশ করেনি।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুন নবী বলেন, “জনগণের তথ্যের ভিত্তিতে সাব্বিরকে আটক করা হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে।”
নতুন বাজারের দোকানদার রফিকুল ইসলাম বলেন, “সাব্বিরকে দেখে কয়েকজন চিৎকার দিলে লোকজন জড়ো হয়। সে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধরে ফেলা হয়।”
ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে “অপরাধ সংঘটনের প্রস্তুতি” বা সুনির্দিষ্ট সন্দেহে আটক করা যায়। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদালতে প্রেরণ বা মুক্তি দিতে হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাব্বিরের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে কোনো মামলা থাকলে আদালতে তা উল্লেখ করা হবে।
সাব্বির হোসেনকে হাতীবান্ধা থানায় আটক রাখা হয়েছে। তার আইনজীবী মো. কামরুজ্জামান জানান, “আটকের কারণ জানতে চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে।”

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?