২৪ এর এই গণহত্যার বিচার অবশ্যই হতে হবে। আগে বিচার পরে অন্যসব কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর কক্সবাজার অনুষ্ঠিত হওয়া জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, শিশু থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বৃদ্ধ কেউ বাঁচতে পারেনি স্বৈরাচার হায়নাদের হাতে থেকে। ৫ আগস্টের একদিন আগেও কেউ জানতো না কি হতে চলছে। সাড়ে ১৫ বছর আমরা আন্দোলন করেছি কিন্তু স্বৈরাচারের গদিতে শেষ আঘাতটা করেছে আমাদের সন্তানেরা।
এই স্বৈরাচার হাসিনার পতন আন্দোলনে অসংখ্য ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছে। ২৪ এর এই গণহত্যার বিচার অবশ্যই হতে হবে। আগে বিচার পরে অন্যসব কাজ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি সুনামগঞ্জে এক কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “গণহত্যার বিচার হতে হবে। বিগত সময়ে এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় যারা মানুষ হত্যা করেছে, তাদের বিচার এ দেশে নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে নির্বাচন আরও পরে দেওয়া হোক।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা অতীত নিয়ে কামড়াকামড়ি চাই না। তবে যারা খুন ও গুমের সঙ্গে জড়িত, অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের বিচার করতে হবে।”
জামায়াতের নেতাকর্মীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীরা কোনো জলমহাল, বালুমহাল কোনো কিছুতেই ঝাঁপিয়ে পড়ছেন না। আমাদের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত না। আমাদের নেতারা মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত না। কেউ যদি অপরাধ করে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। কিন্তু নিরীহ মানুষ কাউকে হয়রানি করা যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে চাই না। তবে যারা খুন ও গুমের সঙ্গে জড়িত, অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের বিচার করতে হবে।”
জামায়াতের আমিরের এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি গণহত্যার বিচারকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্বাচন পরবর্তীতে আয়োজনের প্রস্তাব করেছেন, যা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?