রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। এ নিয়ে রাজনৈতিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চলছে নানা আলোচনা। বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারও।
এবার বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘খুনি হাসিনার বাংলাদেশ বিরোধী, গণঅভ্যুত্থান বিরোধী বক্তব্য যেই গণ ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ৩২ নাম্বারে। সরকার কি করবে? খুনি হাসিনা দেশের মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে তুলবে আর সরকার জুলাইয়ের সেই ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অস্ত্র ধরতে বলবে? ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার প্রস্তুতিও রাখা উচিত।’
এর আগে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাকে অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বলা হয়েছে, পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে যার বহিপ্রকাশ ঘটেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ ও ধংসযজ্ঞ হয়নি। গতকাল রাতে এটি ঘটেছে পলাতক শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে যার দুটো অংশ আছে।
প্রথমত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন শেখ হাসিনা তাদেরকে অপমান করেছেন, অবমাননা করেছেন। শহিদের মৃত্যু সম্পর্কিত অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলেছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা করেছেন ও অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন যে সুরে কথা বলতেন গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি একই হুমকি-ধামকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন, হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছেন।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?