বাংলাদেশের রাজনীতিতে উপদেষ্টা পরিষদের ভূমিকা ও গঠন নিয়ে বরাবরই আলোচনা ও সমালোচনা হয়ে আসছে। সম্প্রতি এক বক্তব্যে বিএনপির নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেছেন যে, উপদেষ্টা পরিষদে এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছেন, যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন এই ‘দোসরদের’ থাকার পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, উপদেষ্টা পরিষদে এমন কিছু সদস্য রয়েছেন যারা আওয়ামী লীগ সরকারের নীতির প্রতি সহানুভূতিশীল এবং তারা সরকারপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাদের উপস্থিতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে এবং নিরপেক্ষতা নষ্ট করছে বলে তিনি মনে করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে শেখ হাসিনার দোসররা রয়েছেন, বিএনপি থেকে বলার পরও তাদের বাদ দেয়া হয়নি। এভাবে প্রশাসন থেকে সর্বত্র গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে আছে। কীভাবে সফল হবে সরকার, তা অনিশ্চিত।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতীয় ঐক্য ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের এ নেতা আরও অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গতি শ্লথ। কী সংস্কার করবে, তা বোধগম্য নয়। বিচারবিভাগের একজনেরও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়নি। নিশিরাতের আদালতের কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আওয়ামী লীগের অনেকে জামিনে বের হচ্ছে। সেই নিশিরাতের বিচারকরা জামিন দিচ্ছে।
সরকারের উদ্দেশে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে আওয়ামী লীগকে কয়দিন পুলিশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখবেন?
সরকার স্ববিরোধী অবস্থানে— এমনটা দাবি করে এ বিএনপি নেতা বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীত নিষিদ্ধ করার কথা বললেও সরকার কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিকভাবে বিচারের দাবি জানাচ্ছে বিএনপি। বেশি সময়ক্ষেপণের জন্য কোনও কৌশল অবলম্বন করলে জাতি মেনে নেবে না।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি করেছে বিএনপি। ছাত্রদের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে রাজনৈতিক দলিল হিসেবে সাংবিধানিক ভিত্তি দেয়া যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। এ নিয়ে তাড়াহুড়ো না করার আহ্বান জানান তিনি।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?