রাজধানীর কাফরুল থানার একটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।
সকালে তাকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল হোসেন তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন।
আদালতে কাফরুল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুবীর ঘোষ সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন গত ১৯ জুলাই কাফরুল থানাধীন এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে আসামিরা নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করেন। এসময় গুলিবিদ্ধ হন মামলার বাদী ইউসুফ। তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে গত বছরের ২১ নভেম্বর ঢাকার আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে আদালত কাফরুল থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। মামলায় কামাল মজুমদার ১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একরামুল হক হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাবেক এ শিল্প প্রতিমন্ত্রীকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, গত ২৯ জুলাই ছাত্র–জনতার আন্দোলন চলাকালে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একরামুল হককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় একরামুলের বাবা জিয়াউল হক বাদী হয়ে কাফরুল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় আসামি ছিলেন কামাল আহমেদ মজুমদার।
ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার সরকারের সাবেক বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সরকারি আমলা, পুলিশ, সাংবাদিকসহ ৭৫ জনের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের মতো কামাল আহমেদ মজুমদারও আত্মগোপনে চলে যান। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কামাল আহমেদ মজুমদার বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল মোহনা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?