প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, “সংস্কার না করলে, আমায় আনলেন কেন?”—এমন মন্তব্য করে তিনি প্রশাসনিক ও বিচারিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আরও একবার গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করলেন। একইদিনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, অল্প খরচে ও দ্রুত সময়ে বিচার নিশ্চিত করতে সিভিল প্রসিডিউর কোড (সিপিসি) সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ড. আসিফ নজরুল বলেন, “ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচারকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং মামলার দীর্ঘসূত্রিতা দূর করতে আইনি কাঠামোয় নানামুখী সংস্কার আনা হচ্ছে।”
তিনি জানান, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এবং মামলার ‘অভিশাপ’ থেকে মুক্তি দিতে আইনগত সহায়তার কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ছোটখাটো, আপসযোগ্য মামলাগুলো বাধ্যতামূলকভাবে আপসের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যা বিচারব্যবস্থার ওপর চাপ কমাবে এবং নাগরিকদের দ্রুত সমাধান দেবে।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট হচ্ছে, এই সরকারের লক্ষ্য শুধু প্রশাসনিক রুটিন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া নয়, বরং ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে কাঠামোগত পরিবর্তন আনা। ড. ইউনূসের প্রশ্ন এক গভীর বার্তা বহন করে—যদি সত্যিকার সংস্কার না হয়, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রয়োজনীয়তাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
সংশোধিত আইন ও বিচার ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সুবিচারের নতুন দুয়ার খুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।