চার দিনের সীমান্ত সংঘর্ষে ভারতের বিরুদ্ধে চমকপ্রদ সাফল্য অর্জনের পর আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে পাকিস্তান। বিশেষ করে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ‘অপারেশন বুনিয়ান ও মারসুস’ অভিযানে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ঘটনা ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এয়ার ভাইস মার্শাল আওরঙ্গজেব আহমেদ জানান, পাকিস্তান সাহস, আত্মবিশ্বাস এবং নির্ভুল কৌশলের মাধ্যমে ভারতের আগ্রাসনের জবাব দিয়েছে। তিনি জানান, অভিযানের সময় পাকিস্তান সরকার সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিল, যার ফলে স্থান, কাল ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সুনিপুণ হামলা চালানো সম্ভব হয়েছে।
১৯৭১ সালের পর এই প্রথমবারের মতো ভারতের একাধিক সামরিক ঘাঁটিতে সফলভাবে আঘাত হানে পাকিস্তান। এর ফলে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে কৌশলগত সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।
আওরঙ্গজেব অভিযোগ করেন, ভারতের পক্ষ থেকে বরাবরই পাকিস্তানের সাফল্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয় এবং নিজেরা নিজেদের বিজয়গাথা প্রচার করে। তবে এবারের বাস্তব ক্ষতি ও ধ্বংসের চিত্র গোপন করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
অভিযানের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছে পাকিস্তান বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবরের নাম। তার দেওয়া তিনটি মূল নির্দেশনা—প্রতিরোধ, পুনরুদ্ধার এবং হুমকি ধ্বংস—এই তিনটি ক্ষেত্রেই সফলতা এসেছে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভারতের রাফাল ভূপাতিত করা, পশ্চিম সীমান্তে পাল্টা আক্রমণ ও ইসরায়েলি প্রযুক্তির ড্রোন প্রতিহতের বিষয়ও তুলে ধরা হয়। পাকিস্তানের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও কৌশলগত নেতৃত্ব আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে মূল্যায়নের সূচনা করেছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?