রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

১ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন ড. ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী শুক্রবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এক ব্যতিক্রমী ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে যাচ্ছেন। প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে এই ইফতার আয়োজনকে মানবিক ও কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তার উদ্যোগেই এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা […]

১ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন ড. ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব

ড. ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব

নিউজ ডেস্ক

১২ মার্চ ২০২৫, ১৭:০০

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী শুক্রবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এক ব্যতিক্রমী ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে যাচ্ছেন। প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে এই ইফতার আয়োজনকে মানবিক ও কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তার উদ্যোগেই এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে, যা রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সহমর্মিতা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতির প্রতীক হিসেবে কাজ করবে।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, এটি শুধু একটি ইফতার পার্টি নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের সমন্বিত মানবিক প্রচেষ্টার একটি উদাহরণ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিব চার দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন। সফরের অংশ হিসেবে তিনি কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন এবং সেখানে রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করবেন।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক দমন-পীড়নের শিকার হয়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচরে মোট রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখেরও বেশি। যদিও বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, তবে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান এখনও অনিশ্চিত। জাতিসংঘের মতে, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা জরুরি, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তা বাস্তবায়ন কঠিন। জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফর এবং ইফতার আয়োজনে অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে এবং নতুন আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রথম বাংলাদেশ সফর। তার সফরসূচিতে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। পাশাপাশি, কক্সবাজার সফরকালে রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং তাদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়ের পরিকল্পনা রয়েছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সফর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকটের ওপর নতুন করে ফেরাতে পারে এবং বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানকে আরও জোরালো করতে সহায়তা করবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা এবং তাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের পক্ষে ছিলেন। তার সরকারের অধীনে জাতিসংঘের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই ইফতার আয়োজন রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক সহমর্মিতার প্রকাশ হলেও এটি নিছক ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠান নয়। বরং এটি কূটনৈতিকভাবে একটি বড় বার্তা বহন করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের উপস্থিতিতে এই আয়োজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কক্সবাজারের দিকে আরও জোরালোভাবে ফেরাবে এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা সমাধানের জন্য নতুন আলোচনা উসকে দেবে। এটি বাংলাদেশ সরকারের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশটি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে এবং এখন আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতা আরও বেশি প্রয়োজন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরের ফলে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা ও মানবিক তহবিল বৃদ্ধি, নতুন কূটনৈতিক আলোচনা এবং প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানবিক উদ্যোগ ও আন্তর্জাতিক সংহতির প্রতীক হিসেবে এই ইফতার আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর এবং ইফতার অনুষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিকভাবে রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং সংকট সমাধানের জন্য নতুন কৌশল নির্ধারণে সাহায্য করতে পারে। এই সফরের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও দৃঢ় হবে এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা নতুন মাত্রা পেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

২৪ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের নতুন ড্রেস

বাংলাদেশের পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের ড্রেস নিয়ে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ৬৮৩

জাতীয়

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও […]

বেনজীরের খেলা শেষ? ইন্টারপোলের জালে ধরা সাবেক আইজিপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩

গত ১৬ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য দেশকে অস্থিতিশীল করার কাজে লিপ্ত ছিল। বিশেষ করে অন্তত দুই ডজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পতনের পর, সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনেকেই পলাতক রয়েছেন। তবে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র এখনও থামেনি।

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ পলাতক থেকেও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মতো গুরুতর অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যা নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। আদালত ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যার মধ্যে বেনজীর আহমেদও ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, তবে এবার পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই।

অনেকেই সন্দেহ করছেন, ইন্টারপোলের রেড এলার্ট কতটা কার্যকর হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ পুলিশ সংস্থা বা ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা করে থাকে। কোনো অপরাধী নিজ দেশ থেকে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিলে, ইন্টারপোল তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ইন্টারপোলের সদস্যপদ লাভ করে। বর্তমানে ইন্টারপোলের তালিকায় ১৯৫টি দেশের ৬,০৬৯ জনের নাম রেড এলার্টে রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৬৪ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত।২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ জন পলাতক আসামিকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কি সত্যিই ধরা পড়বেন, নাকি ফেরারির খেলায় আবারও রক্ষা পাবেন?

১৮ মার্চ ২০২৫
poll_title
ডিসেম্বরে মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?

মোট ভোট: ২২৬

জাতীয়

মোদীর সকল শর্তই প্রত্যাখান করলো ইউনুস সরকার

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।ভারতের এই […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৬

বাংলাদেশের ওপর ভারতের চাপ প্রয়োগের কৌশল এবার ব্যর্থ হয়েছে। দিল্লি তিনটি কঠোর শর্ত দিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, ভারতীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা নিষিদ্ধ করা, এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।


তবে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য কোনো দেশের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না।
ভারতের এই হস্তক্ষেপমূলক নীতি শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বৈরী অবস্থায় রয়েছে, বিশেষ করে কাশ্মীর, সীমান্ত সংঘর্ষ, ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে।
এই উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন উষ্ণতা ভারতকে আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ, যা দিল্লির জন্য বড় ধাক্কা।


পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধানের ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ইসলামাবাদ সফর প্রমাণ করে, দুই দেশের মধ্যে নতুন সমঝোতা গড়ে উঠছে।
ভারত যদি বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যায়, তবে এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যকেও বদলে দেবে

বাংলাদেশ এখন নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য বিকল্প খুঁজছে এবং পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠছে।
চীন, রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেও নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা।


ভারতের আধিপত্যবাদী নীতি মোকাবিলায় এই কৌশল দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে।


ভারত যদি বাংলাদেশকে শত্রুর চোখে দেখে, তবে বাংলাদেশও কৌশলগতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং নতুন জোট তৈরি করে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াবে।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি এখন এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে নিজের পথ নির্ধারণ করবে, কোনো পরাশক্তির ছায়ায় নয়।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২৭১

আন্তর্জাতিক

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় দুই সেনাসহ নিহত ১৪

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন। এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:১২

সাতসকালে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় দুই সেনাসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা কর্মীরা অভিযানে যান। এসময় তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের ভয়ঙ্কর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

এতে অন্তত ১২ জন মাওবাদী এবং দুই সেন সদস্য নিহত হন।

এনকাউন্টার চলাকালীন দুই জওয়ান প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অপর দু’জন সেনা সদস্যও আহত হয়েছে। তাদরেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা কর্মীদের একটি দল যখন মাওবাদী বিরোধী অভিযান চালাচ্ছিলেন, তখন সকালের সময় ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যান এলাকার একটি ঘন জঙ্গলে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বন্দুকযুদ্ধে ১২ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে।”

তিনি যোগ করেন, যে এলাকায় একটি বিরতিহীন গুলি বিনিময় এখনও চলছে, আরও বিশদ বিবরণের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ, এবং কর্তৃপক্ষ উচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক সুন্দররাজ পি, নিশ্চিত করেছেন যে এনকাউন্টারে নিহত একজন জওয়ান ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং অপরজন মাওবাদী বিরোধী অভিযানে বিশেষজ্ঞ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) রাজ্য-স্তরের সদস্য ছিলেন।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৮৯০