বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ আর কখনো বাংলাদেশের ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, “গত ১৫-১৬ বছরে আওয়ামী লীগ গুম-খুন, অত্যাচার এবং নির্যাতনের মাধ্যমে দেশের মানুষকে দমন করেছে। গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গণহত্যা চালিয়েছে। এ দেশের জনগণ তাদের আর কোনো সুযোগ দেবে না এবং আওয়ামী লীগ আর কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।”
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে “দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন”-এর আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে ফারুক এই মন্তব্য করেন। নাগরিক সমাবেশটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিতর্কিত বক্তব্যের প্রতিবাদে আয়োজিত হয়।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এর বিজয় বাংলাদেশের জনগণের। এ দেশের সাধারণ মানুষ যুদ্ধ করে জীবন দিয়ে বিজয় লাভ করেছে।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশে গণতন্ত্র চায় না। ভারত যদি গণতন্ত্র চাইতো, তাহলে ২০১৪ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনা কখনো ক্ষমতায় আসতে পারতো না। মমতা, প্রিয়াঙ্কা তাদেরও তলে তলে ব্যথা, আপনারা কেন মোদিকে সমর্থন করেন? শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠান, যদি বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক এটা চান।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা এই দেশকে যেভাবে শোষণ করা শুরু করেছিল, তার ফলশ্রুতিতে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে তার পতন হয়। তিনি পালাতে বাধ্য হন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে জিয়াউর রহমান হত্যার সাথে আওয়ামী লীগ জড়িত মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ আর কখনো বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে সাবেক এই বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, ড. ইউনূস আপনাকে আমরা এখনো বিশ্বাস করি। বিশ্বাসের ঘরে আগুন লাগানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। ড. ইউনূসকে বলব, আপনি নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হলে একটি নির্বাচিত সরকার গঠন করা জরুরি।
তিনি বলেন, আদালতকে ধন্যবাদ তারা জানতে চেয়েছেন কীভাবে ওবায়দুল কাদের দেশত্যাগ করেছে। যারা আয়নাঘর বানিয়েছে, মানুষকে নির্যাতন করেছে- তারা কীভাবে দেশ ত্যাগ করে।
সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন ১২ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বিএনপি দলীয় সাবেক মহিলা এমপি নুর আফরোজ জ্যোতি প্রমুখ।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?