হাবিবুর রহমান সাগর, জাবি প্রতিনিধি :
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) চিকিৎসা কেন্দ্রে ওষুধ নিতে গিয়ে মেডিকেলের ফার্মাসিস্টের হেনস্থার শিকার হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী।
জানা যায়, সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাম জান্নাত ঝলক। তিনি সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী। কর্মচারীর নাম মো সিরাজুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ভুক্তভোগী তার বান্ধবীকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যায়। ডাক্তার দেখিয়ে প্রেসক্রিপশন নিয়ে ক্রিমটা আনতে গেলে সিরাজুল ইসলাম জানায় এই ক্রিমটা নেই। সেসময় এন্টাসিড নিতে প্রেসক্রিপশন লাগবে কি না জানতে চাইলে তিনি খারাপ আচরণ করেন এবং শিক্ষার্থীকে হেনস্থা করেন। এরপর তিনি পুনরায় প্রেসক্রিপশন চাইলে আমি দিতে অস্বীকৃতি জানাই। এরপরও সে বার বার চাইলে আমি বান্ধবী থেকে নিয়ে তাকে দিতে গেলে সে এক পাতা মারলক্স টেবিলে ছুড়ে দেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রোকাইয়া জান্নাত ঝলক বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে সেবার জন্য যাই। সেবা না পেয়ে হেনস্থা হওয়া কোনোভাবেই কাম্য না৷ সেবার নামে শিক্ষার্থী হেনস্থা বন্ধ করা উচিত। আজকে আমি অপমানিত হয়েছি কালকে যাতে অন্য কেউ অপমানিত না হয় সেটাই চাওয়া।
এ বিষয়ে ফার্মাসিস্ট মো সিরাজুল ইসলাম বলেন,
“আমি কোন কোন খারাপ ব্যবহার করিনি আপুটি হয়তো ভুল বুঝেছেন। আপুটি একটি প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসে যেখানে একটি ক্রিমের নাম লেখা ছিল আর সেই ক্রিম আমাদের কাছে ছিল না। এরপর তিনি প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া আমার কাছে এন্টাসিড চেয়েছিল তখন আমি ওনার প্রেসক্রিপশনটা চেয়েছিলাম। সাধারণত প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোন ওষুধ দেওয়া যায় না। সেখানে ওনার নাম এবং ব্যাচ লেখা ছিল সেটা আমি আমার সার্ভিসিং বইয়ে রেজিস্ট্রি করতে হবে। কিন্তু আমি বারবার প্রেসক্রিপশন চাইলেও তিনি আমাকে দেননি। ফলে আমি প্রেসক্রিপশন ছাড়াই উনাকে এক পাতা এন্টাসিড দিয়ে দেই।”
এ বিষয়ে চীফ মেডিক্যাল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ শামছুর রহমান বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি কিন্তু সেখানে হেনস্থার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষার্থী প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ চেয়েছিল যেটা নিয়ম বহির্ভূত। ওষুধ নিতে হলে শিক্ষার্থীদের নাম এবং ব্যাচ প্রেসক্রিপশনে লেখা থাকে সেটা রেজিস্ট্রি করে নিতে হয়। পরে আবার তাকে যখন ওষুধ দিয়েছিল তখন সে আবার নেয়নি। “