হাবিবুর রহমান সাগর ,জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখার কর্মসূচি চালু করে ‘লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ’।কর্মসূচিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্যাম্পাস ক্লিনিং প্রজেক্ট’। ১০ দিনব্যাপী এই পরিষ্কার কার্যক্রম চলছে ।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ নবম দিনে আজ সোমবার বিকেল ৩:৩০ থেকে সংগঠনটি ক্যাম্পাস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজ শুরু করে শেষ হয় সন্ধ্যা ৬ টার দিকে। এসময় তারা ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলো পরিষ্কার করেন ; সেন্ট্রাল ফিল্ড, জেলা সমিতির সকল টেন্ট, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, শহিদ মিনার, নতুন কলা ভবন সহ বিভিন্ন জায়গায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে।
লাল সবুজ সংঘের একজন স্বেচ্ছাসেবক কর্মী বলেন, আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ভর্তি পরীক্ষায় যে অপরিচ্ছন্ন জাহাঙ্গীরনগর সৃষ্টি হয়েছে সেটা পরিচ্ছন্ন করার জন্য স্বেচ্ছায় নিজেদের উপস্থিত করেছি যাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন হতে পারে। যারা যারা আমাদের সাথে কাজ করতে চায় তাদেরকে আমি সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
সংগঠনটির ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী জিয়াউদ্দিন আয়ান বলেন, ” লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ সদস্যদের টিফিনের টাকায় পরিচালিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রতিবছরের মতো এবারও ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আমাদের ১০ দিন ব্যাপী ক্যাম্পাস ক্লিনিং কর্মসূচি অব্যাহত আছে। ক্যাম্পাসের পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ভর্তি পরীক্ষার সময়ে প্রচুর শিক্ষার্থী ও অভিবাকদের সমাগমে ক্যাম্পাসের পরিবেশ ময়লা আবর্জনায় ভরে যায় তাই পরিচ্ছন্ন জাহাঙ্গীরনগর গড়তেই আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। একাজে প্রশাসনের যেমন দায়বদ্ধতা রয়েছে ঠিক একইসাথে আমাদের শিক্ষার্থীদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। ছাত্র-শিক্ষক- কর্মকর্তা কর্মচারী সবাই মিলেই আমরা ক্লিন ক্যাম্পাস গড়তে চাই। পরিবেশ সুরক্ষা ও ময়লা আবর্জনা রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের ব্যানার ফেস্টুন লাগানো এবং লিফলেট বিতরণ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
এসময় উক্ত কর্মসূচিতে সংগঠনটির সদস্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাদি, ইমন, ইব্রাহিম, সাদিয়া, বৃষ্টি, ফয়সাল, রিফাত, রাব্বি, ইয়াসিনসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ ২০১১ সাল থেকে দেশের সিংহভাগ জেলায় মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিভিন্ন সচেতনামূলক ক্যাম্পেইন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ উপহার, পাঠদান কর্মসূচি, ঈদের নতুন জামা উপহার, শীতার্তদের মাঝে কম্বল উপহার, বৃক্ষরোপণ, রক্তদান, স্বাস্থ্য সচেতনামূলক কর্মসূচি, বিভিন্ন ক্রান্তি ও দুর্যোগকালীন সময়ে সমাজ সচেতনামূলক কর্মসূচি এবং দেশের পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।