মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

কালিগঙ্গা নদী শাসন বাধ প্রকল্পে অর্ধশত পরিবার নি:স্ব, ক্ষতিপূরণ দাবী

সোহেল রানা,সিংগাইর প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইরের জামশা কালীগঙ্গা নদী শাসন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নদীর তীরবর্তী এলাকার অর্ধশতাধিক পরিবার তাদের ভিটে বাড়ি হারিয়ে হচ্ছেন নিঃস্ব ও ভূমিহীন। ভুক্তভোগীদের রেকর্ডকৃত সম্পত্তি নেওয়া হলেও বিনিময়ে পাচ্ছেননা কোন ক্ষতিপুরণ।সরকারের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। জানা যায়, নদী ভাঙ্গন […]

নিউজ ডেস্ক

২১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১৯

সোহেল রানা,সিংগাইর প্রতিনিধিঃ

মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইরের জামশা কালীগঙ্গা নদী শাসন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নদীর তীরবর্তী এলাকার অর্ধশতাধিক পরিবার তাদের ভিটে বাড়ি হারিয়ে হচ্ছেন নিঃস্ব ও ভূমিহীন। ভুক্তভোগীদের রেকর্ডকৃত সম্পত্তি নেওয়া হলেও বিনিময়ে পাচ্ছেননা কোন ক্ষতিপুরণ।সরকারের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।

জানা যায়, নদী ভাঙ্গন রোধে ১৭ টি প্যাকেজের মাধ্যমে কালিগঙ্গা নদী শাসন প্রকল্প হাতে নেয় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরমধ্যে উপজেলার জামশা ইউনিয়নে দুটি প্যাকেজে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় কিলোমিটার নদী শাসন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

নদীর তীরবর্তী পরিবারগুলোর অভিযোগ, নদী শাসন প্রকল্পে তাদের রেকর্ডকৃত সম্পত্তি নেওয়া হলেও তারা কোন ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না। এদিকে ব্যাক্তি মালিকানা ভূমির মাটি রাতের আধারে বিক্রির অভিযোগও রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

রেকর্ডকৃত ভূমির বসতবাড়ি ভেঙ্গে নদী শাসন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও মানা হয়নি ভূমি অধিগ্রহণ আইন। যে কারণে বাড়িঘর হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে নদী পাড়ের  অর্ধশতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। সরকারের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি তাদের।

ভুক্তভোগী ঝর্ণা বেগম বলেন, আমার আধা বিঘার মতো জমিতে বাড়ি ছিলো। নদীতে ভাঙতে ভাঙতে বারো আনি শেষ। চার আনির মধ্যে ঘর করে থাকতাম, তাও ভাইঙ্গা দিলো। সরকার যদি আমাদের কিছু ক্ষতিপূরণ দিতো, না হলে  একটু খাস জমি দিতো তাহলে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে থাকতে পারতাম। এখন তো আমার আর কিছুই রইলো না।

একই অভিযোগ ভুক্তভোগী আব্দুল হাসেম আলী বলেন, আমার ব্যক্তি মালিকানা জমির প্রায় ২০-৩০ ফুট জমির মাটি কাটছে। আমার জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ছিলো, প্রায় ১ লাখ টাকা মূল্যের আদা চাষ করে ছিলাম।  এখিন আমার সবই শেষ।

আমার জমির মাটি নিয়ে অন্য জায়গার রাস্তা ভরাট করেছে। অনেককেই নিজের জায়গার মাটি দিলেও আমাকে দেয় নাই। সরকারের কাছে এর নিকট আমার এই ক্ষতির ক্ষতিপূরণ চাই।

এরূপ প্রায় অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, বাঁধ হলেও আমাদের ক্ষতি করে কেনো? আমাদের শেষ সম্বল ভিটে মাটি এভাবে কেড়ে নিলে আমরা কোথায় যাবো? তাই আমরা সরকারি ভূমি অধিগ্রহণ আইনের নিয়মেই ক্ষতিপূরণ দাবি করি।

একই সাথে ভূমি অধিগ্রহণ আইনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

জেলা পানি উন্নয়ন বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ সংবাদ মাধ্যম কে বলেন, সরকারিভাবে ভূমি অধিগ্রহণ না করায় এসব পরিবারেগুলোকে ক্ষতিপুরণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এ প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরনের কোন ব্যবস্থা নেই।

যদি ওয়ার্ড ব্যাংক কিংবা এডিবির কোন প্রকল্প হতো তাহলে দেয়া হতো। এ ফান্ডে ক্ষতিপূরণ দেয়ার এরকম কোন মাধ্যম নেই।

সারাদেশ

১৬ বছর চাকুরিচ্যুত পুলিশ কর্মকর্তা অপারেশন ডেভিল হান্টের নেতৃত্বে

গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় আজ (শনিবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট আসিফ সৈকত তাঁর ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুকে বলেছেন,অপারেশন […]

ফারজিন লিটু

০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০:৪৬

গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় আজ (শনিবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট আসিফ সৈকত তাঁর ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুকে বলেছেন,অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু।

এই অপারেশনের নেতৃত্বে রয়েছেন ১৬ বছর চাকুরিচ্যুত থাকার পর চাকরি ফিরে পাওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা।

সারাদেশ

সেই ৩ ডাকাতের মিলেছে পরিচয়

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকার রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা থেকে আটক তিন ডাকাতের পরিচয় মিলেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে আত্মসমর্ণ করা ডাকাতরা হলেন- শারাফাত, শিফাত ও নিরব। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা ভবনের নিচতলার বরিশাল ফার্মেসি মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শী […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৪

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকার রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা থেকে আটক তিন ডাকাতের পরিচয় মিলেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে আত্মসমর্ণ করা ডাকাতরা হলেন- শারাফাত, শিফাত ও নিরব।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা ভবনের নিচতলার বরিশাল ফার্মেসি মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শী মনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়দের চিল্লাচিল্লি শুনে এগিয়ে এসে দেখি ব্যাংকে ডাকাত ঢুকেছে। এসময় ব্যাংকের গেট ও জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তিনি জানান, আটক তিন ডাকাতের বয়স ১৮ থেকে ২০ হবে। জানালা দিয়ে সবাইকে বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেয়। সবার মুখে মাস্ক ছিলো। হাতে অস্ত্র ছিলো।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ডাকাতরা ব্যাংকে ঢোকে। এ সময় পাশের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির খবর জানানো হলে স্থানীয় কয়েকশ লোক ব্যাংকের ওই শাখা ঘিরে ফেলেন ও বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পুলিশ, র‍্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকটি ঘেরাও করে রাখে।

জানা গেছে, ব্যাংকে ডাকাত দলের হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক–সংলগ্ন মূল সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ডাকাত দলকে আত্মসমর্পণের জন্য পাশের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেষ্টায় সন্ধ্যার দিকে আত্মসমর্পণ করে তারা।

 

সারাদেশ

নাটোরে ট্রেনের হুক ভেঙে বগি বিচ্ছিন্ন

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, (নাটোর প্রতিনিধি): নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি অবস্থায় আকস্মিকভাবে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুই বগির মাঝখানে হুকটি ভেঙ যায়। এতে বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। নতুন হুক লাগিয়ে ও সংযোগ স্থাপনের পর এক ঘন্ট বিলম্বে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৩

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, (নাটোর প্রতিনিধি):
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি অবস্থায় আকস্মিকভাবে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুই বগির মাঝখানে হুকটি ভেঙ যায়। এতে বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
নতুন হুক লাগিয়ে ও সংযোগ স্থাপনের পর এক ঘন্ট বিলম্বে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নং লাইনে এ ঘটনা ঘটে।
অপর লাইনগুলো সচল থাকায় অন্যান্য ট্রেন চলাচলে কোন বিঘ্ন ঘটেনি।
মাধনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ উজ্জ্বল আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নং লাইনে প্রবেশ করে।
স্টেশন বিরতি শেষে ছেড়ে যাওয়ার সময় ট্রেনের (ঝ) বগি ও (ঞ) বগির মাঝখানের সংযোগ হুক ভেঙে বগি দুটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে মেরামত শেষে দুপুর সোয়া ১ টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।