বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

গাংনীর পা হারানো আকলিমার জীবন সংগ্রাম

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা হারানোর যন্ত্রনা ও মনো কষ্টে আল্লাহর কাছে মৃত্যুও কামনা করেছেন কলেজ ছাত্রি আকলিমা। একেতো নারী তার উপর আবার পঙ্গুত্ব। হাসপাতালের বিছানায় এক বছর অসহায় জিবন যাপন করেছেন তিনি। মৃত্যু কামনার পরও তার মৃত্যু হয়নি, বরং সাফলতা অর্জনের সাহসটুকু তিনি পেয়েছেন। গর্ভধারিনী মমতাময়ী মায়ের পরামর্শে আকলিমা পড়া লেখা […]

নিউজ ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫২

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর

সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা হারানোর যন্ত্রনা ও মনো কষ্টে আল্লাহর কাছে মৃত্যুও কামনা করেছেন
কলেজ ছাত্রি আকলিমা। একেতো নারী তার উপর আবার পঙ্গুত্ব। হাসপাতালের বিছানায় এক বছর
অসহায় জিবন যাপন করেছেন তিনি। মৃত্যু কামনার পরও তার মৃত্যু হয়নি, বরং সাফলতা অর্জনের
সাহসটুকু তিনি পেয়েছেন। গর্ভধারিনী মমতাময়ী মায়ের পরামর্শে আকলিমা পড়া লেখা
চালিয়ে গেছেন। এখন তিনি একজন সুনামধন্য স্কুল শিক্ষক। সে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার
রাইপুর গ্রামের হাজী জোয়াদ আলীর মেয়ে।

জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৬ মার্চ মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে আকলিমা
খাতুন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার দুটি পা। রাজধানী ঢাকাসহ
বিভিন্ন হাসপাতালে এক বছর তার চিকিৎসা করানো হলেও করিয়েও পা দুটি আর সচল করা
যায়নি। কোমর থেকে নিচের অংশটি সম্পুর্ণভাবে অকেজো হয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবে চলার
ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে সে। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে তারমতো অসংখ্য মানুষকে দেখে
আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়। আবার লেখাপড়া শুরু করে।

পঙ্গুত্ব বরন করার পর আকলিমা কিংকর্তব্য বিমুঢ় হয়ে পড়ে। জিবনের সব আশা ভরসা শেষ এই ভেবে
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নিজের মৃত্যু কামনা করতেন আর অঝোরে কাঁদতেন। সেসময় তার
পাশে কাউকে না পেলেও মমতাময়ী মা তাকে ছেড়ে যান নি। সব সময় আশা যুগিয়েছেন। মায়ের
পরামর্শে আকলিমা আবারো পড়ালেখা শুরু করেন। অদম্য এই মেধাবী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক
নিয়োগ পরীক্ষা দেন এবং কৃতকার্য হন। বর্তমানে তিনি গাংনী উপজেলার রায়পুর সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। পায়ে হেটে আসার সামর্থ হারালেও এখন সব ধরনের চলাচল তার হুইল
চেয়ারে।

আকলিমা জানান, তার জীবনের এই গল্পটা এতটা সহজ ছিলনা। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে
আসতে হয়েছে এতদূর। জীবনের সেই দুঃসময়ে একমাত্র মা ছাড়া পরিবারের কেউ তেমন
সহোযোগিতা করেনি। ভাইয়েরা বলেছিল অযথাই ওর পড়াশোনার পিছনে টাকা খরচ করে কি লাভ?
প্রতিবন্ধীরা যে সমাজের বোঝা নয়, তাদেরকে একটু সুযোগ করে দিলে সমাজে তারাও যে ভালো
ভূমিকা রাখবে সেটা পরিবারের লোকজনকে বিশ্বাস করানোটা ছিল এক রকম চ্যালেঞ্জ। এখন পাশে
অনেকেই আছেন এবং পরিবারের লোকজনও তার পাশে রয়েছে বলেও জানান আকলিমা।

আকলিমার মা মমতাজ খাতুন জানান, আকলিমা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে। দ’ুটি পা অচল
হলেও লেখা পড়া বন্ধ করতে দেয়া হয়নি। ছোট বেলঅ থেকেই সে মেধাবী। তার উপর ভরসা ছিল তাই
নানা ধরনের বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করেও তার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছি। এখন
সে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছে। সে তার সংসারের নিজের সব কাজ নিজেই করে,
যেটি পারেনা তখন তাকে সাহায্য করা হয়। প্রতিটি বাবা-মার উচিত তার প্রতিবন্ধী, অক্ষম
সন্তানকে বোঝা মনে না করে ভালো কিছু করার সুযোগ করে দেওয়া।

ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আকলিমা অন্যান্য শিক্ষকদের মতো শিক্ষা দেন। ভাল ভাবে
পাঠদান করান। সময়মতো স্কুলে আসেন। তিনি খুব আন্তরিক মানুষ। কেউ স্কুলে না আসলে হুইল
চেয়ারে করে তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নেন। কখনও কারো সাথে অসদাচরণ করেন না।
বিদ্যালয়ের প্রধান ফৌজিয়ারা খাতুন জানান, আকলিমা শারীরিক ভাবে অসুস্থ হলেও আর
পাঁচজনের মতোই তার কাজ নিজে করেন এবং প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করেন। তিনি কোনদিন
দেরি করে স্কুলে আসেন না। শিক্ষার্থীদেরকে নিজের সন্তান মনে করে পড়ালেখা করান।
গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, আকলিমা দৈহিকভাবে
বাধাগ্রস্ত হলেও মানসিকভাবে অবিচল। সাধারণ মানুষের মতই সব কিছু করেন। শিক্ষাদান

বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া সঠিক সময়ে পাঠ দানে তার যথেষ্ঠ সুনাম রয়েছে। তাকে দেখে সমাজের
আরও যারা এরকম সমস্যায় রয়েছে তারা ঘুরে দাঁড়াবে বলে তিনি মনে করেন।

 

সারাদেশ

পূজা মন্ডপের পাশে মুসলিম শিশু ধ/র্ষ/ণ, পূজামণ্ডপের সহসভাপতি ভজেন্দ্র সরকার গ্রেফতার

পূজা চলাকালীন সময়ে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে থাকা অবস্থায় ভজেন্দ্র সরকার কৌশলে শিশুটিকে ডেকে নেয়। পরে জোরপূর্বক নিজ ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বড়ভাই ও স্বজনরা গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে

নিউজ ডেস্ক

০২ অক্টোবর ২০২৫, ০০:৩২

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার সুরাবাড়ীতে পূজা মণ্ডপের পাশে আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত ভজেন্দ্র সরকারকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতার হওয়া ভজেন্দ্র সরকার (৫৫) আশ্রয়ণ প্রকল্প পূজামণ্ডপের সহসভাপতি এবং মেঘলাল সরকারের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, পূজা চলাকালীন সময়ে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে থাকা অবস্থায় ভজেন্দ্র সরকার কৌশলে শিশুটিকে ডেকে নেয়। পরে জোরপূর্বক নিজ ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বড়ভাই ও স্বজনরা গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা ভজেন্দ্র সরকারকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। শিশুটির মা মোসা. ফাতেমা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে এবং মামলাটি দ্রুত তদন্ত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি এমন অপরাধে জড়ান, তবে তা সমাজে গভীর ক্ষোভ ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে।

সারাদেশ

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) এর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরই ছাত্রদল […]

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

শেরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রদল সভাপতি গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক

২৬ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৫

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) এর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১৪৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরই ছাত্রদল নেতা আশিককে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।

র‌্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত ১০টায় উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার এলাকায় র‌্যাব -১৪ অভিযান চালিয়ে আশিক মাহমুদকে ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। উদ্ধারবকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪৩ হাজার ৫শ টাকা। পরে র‌্যাব সদস্যরা আশিককে নালিতাবাড়ী থানায় সোপর্দ করলে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ১৪৫ পিস ইয়াবাসহ আশিককে রবিবার রাতেই থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব । সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


এদিকে সোমবার বিকেলে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসেম আহমেদ বাবু সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান উজ্জ্বল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মাহমুদকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব সাংগঠনিক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সারাদেশ

মামুনের খুলি ফ্রিজে, মাথার ব্যান্ডেজ লেখা ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুন মিয়া। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা চার দিন লাইফ সাপোর্ট থাকার পর গতকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে দেখা যায়, আহত মামুনের […]

নিউজ ডেস্ক

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মামুন মিয়া। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা চার দিন লাইফ সাপোর্ট থাকার পর গতকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

এর মধ্যে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে দেখা যায়, আহত মামুনের মাথায় ব্যান্ডেজ। সেখানে লেখা, ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’। তার মাথার কিছু অংশে খুলি না থাকায় সতর্কতার স্বার্থে এটি লেখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত রোববার (৩১ আগস্ট) সংঘর্ষে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেশীয় অস্ত্রের কোপে মামুনের মাথায় মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরে অপারেশন করে তার মাথা থেকে ১৩ টুকরো হাড় বের করা হয়েছে। তার খুলি এখন ফ্রিজে সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানা গেছে।

সুস্থ হয়ে উঠলে দুই মাস পর মামুনের মাথার খুলি লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এছাড়া তার নাকে ও মুখে রক্তক্ষরণের পাশাপাশি কানের পর্দা ফেটে গেছে।

মামুনের বন্ধু রাসেল রানা বলেন, ওর অবস্থা বর্তমানে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। কেবিনে শিফট করা হয়েছে। ইশারার মাধ্যমে কথা বলার চেষ্টা করছে। ওর মাথার হাড় ভেঙে ভেতরে টুকরা টুকরো হয়ে গিয়েছিল। ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধেছিল। এজন্য মাথার পেছনে ব্রেইনের অংশে অপারেশন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খুলি পুনরায় লাগাতে ডাক্তার সাধারণত দুই মাস সময় চেয়েছেন। পরিস্থিতি ভালো হলে এক মাসের মধ্যে লাগানো যাবে। যদি অবনতি হয় তাহলে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। তবে বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত আছে।

এ বিষয়ে চবির সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, গত ৩১ আগস্ট প্রায় চার ঘণ্টা ধরে মামুনের অপারেশন করা হয়। অপারেশনে মামুনের মাথা থেকে ১৩ টুকরো হাড় বের করা হয়েছে। তার খুলি এখন ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। তাকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার ফলে ব্রেইনের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

পার্কভিউ হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) জিয়াউদ্দিন বলেন, মামুন মোটামুটি ভালো আছে। তার সেন্সও ফিরে আসছে। এখন কেবিনে তার চিকিৎসা চলছে। মাথার ব্রেনের অংশে অপারেশন করায় আপাতত খুলি খুলে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এ অবস্থায় তার মাথায় হাড় নেই। এক-দুই মাস পর অথবা অবস্থা অনুযায়ী খুলি আবার লাগানো হবে। সায়েমের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনকই বলা যায়।

তিনি আরও বলেন, গতকাল মেডিকেল বোর্ড বসেছিল। এখন আবার অপারেশন করতে হতে পারে, অথবা নরমাল চিকিৎসা যেভাবে চলছে, এভাবে চালিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।

গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে গতকাল বিকেল ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।