প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার লন্ডনে অনুষ্ঠিত দেড় ঘণ্টার বৈঠক দেশের চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে তোলার সম্ভাবনার বার্তা দিচ্ছে।
এই বৈঠকে ডিসেম্বরের পরিবর্তে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে বিএনপির প্রস্তাবে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে সরকার পক্ষ।
বৈঠকে শুধুই নির্বাচনের সময় নয়, বরং রাজনৈতিক সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাফিজউদ্দিন আহমদ জানান, এই আলোচনার আগে বিষয়টি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিস্তারিতভাবে নির্ধারণ করা হয়। মৌলিক সংস্কার, অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মপরিধি এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি—সবকিছু নিয়েই তারেক রহমানকে আলোচনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
বৈঠকে ভবিষ্যৎ সরকার গঠনকালীন সময়ে ড. ইউনূসের ভাবমূর্তি ও আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতাকে কাজে লাগানোর বিষয়েও আলোচনা হয়। সালাহউদ্দিন আহমদের মতে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক ধারার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ড. ইউনূসের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। যদিও তিনি প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বিচার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে হাফিজউদ্দিন আহমদ বলেন, তারেক রহমান ড. ইউনূসকে আশ্বস্ত করেছেন যে, বিএনপি ভুক্তভোগী দল হিসেবে দ্রুত ও সঠিক বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আগ্রহী।
তবে ছাত্র উপদেষ্টা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি এখনও অনড়। বিএনপি নেতাদের ভাষায়, এটি সরকারের ওপরই নির্ভর করছে। এখন সরকার যদি এই দাবি মেনে নেয়, তবে নির্বাচনের পূর্বশর্তগুলো প্রায় পূর্ণ হবে।
এই বৈঠক ও আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমঝোতার পথে একটি বাস্তবসম্মত অগ্রগতি ঘটেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এখন সবদলের অপেক্ষা সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার দিকে।