সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে আওয়ামী লীগকে ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে যদি স্বাভাবিকভাবে মরতে দেওয়া হতো, তাহলে মানুষ ফিরেও তাকাতো না। কিন্তু দলটিকে কর্নার করার মাধ্যমে বরং তাকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।”
রুমিনের মতে, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যেভাবে ‘ম্যানুফ্যাকচারড নির্বাচন’-এর মাধ্যমে ক্ষমতায় থেকেছে, তাতে দলটি এখন তার ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগ—সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। “আমি সবসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জোরালোভাবে কথা বলেছি,”— বলেন রুমিন।
তিনি মনে করেন, একটি প্রতিপক্ষ যখন শক্তিশালী থাকে, তখন তার বিরুদ্ধে লড়াই অর্থবহ হয়। “আমি সেই ব্যক্তি নই যে, প্রতিপক্ষের হাত থেকে তলোয়ার পড়ে গেলে আঘাত করি। এখন আওয়ামী লীগ অস্ত্রহীন, এই অবস্থায় আঘাত করাকে আমি কাপুরুষতা মনে করি,”— বলেন তিনি।
রুমিন ফারহানা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বর্তমানে জনগণের আস্থা হারিয়েছে। “আমি ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগেই বলেছিলাম, আওয়ামী লীগের এমন পতন হবে যে পরে কেউ তাদের পক্ষেও টকশোতে কথা বলতে চাইবে না। বাস্তবেও তাই দেখা যাচ্ছে।”
তিনি মনে করেন, অতিরিক্ত দমনমূলক আচরণের ফলে মানুষের সহানুভূতি আওয়ামী লীগের দিকেই ফিরে যেতে পারে। “মানুষের মনোভাব অনেকটা ব্রিটিশ আবহাওয়ার মতো — কখন যে বদলে যায় বলা মুশকিল।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এখন ফেসবুকে আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে কথা বললেও শাস্তির ভয় থাকে।” সুইং ভোটারদের আচরণ নিয়েও তিনি বলেন, “৩৪ ভাগ ভোটার দল দেখে নয়, পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেয়। এখন তারা দেখছে—আপনি কীভাবে আচরণ করছেন।”

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?