ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে অনেকেই ভারতের দালাল বলে।আসলে এ কথাটা ঠিক না। বাস্তবতা হলো আওয়ামী লীগ সরকার ভারতেরই সরকার ছিল।
তার বাস্তবতা আমাদের কাছে এখন পরিষ্কার। কারণ তাদের সমস্ত কার্যক্রম ভারতের স্বার্থেই ছিল। বাংলাদেশের স্বার্থে কোনো কার্যক্রম আমরা দেখিনি।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখার আয়োজনে ওলামা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ৫৩ বছর হয়েছে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু যারা দেশ পরিচালনা করছে তারা মূলত কেউই ইসলাম ও ওলামায়ে কেরামদের বন্ধু ছিল না। গত জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার মানুষ গুম, হাজার হাজার মায়ের কোল সন্তানহারা হয়েছে। দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে বেগমপাড়া তৈরি করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকার ইসলামের প্রতি অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যারা দেশ পরিচালনা করবে তাদের মেধাকে ইসলামবিদ্বেষী করার জন্য পাঠ্যসূচির মধ্যে ইসলামবিদ্বেষী যত কালচার আছে সব তারা ঢুকিয়েছে। আজকের এই অবস্থার জন্য অনেকাংশে কিন্তু আমরা ওলামায়ে কেরামরা দায় এড়াতে পারি না।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার তৌফিক আল্লাহ দিয়েছেন। যখন দেশের বিরুদ্ধে, ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হয়েছে তখন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়েছে। যখন পাঠ্যসূচির মধ্যে শরীফ-শরীফা ট্রান্সজেন্ডারসহ বিভিন্ন ইসলামবিদ্বেষী জিনিস তারা ঢুকিয়েছিল তখন আমরা আন্দোলন করলে তারা কিন্তু পাঠ্যসূচি থেকে সেগুলো সরাতে বাধ্য হয়েছে।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের অনেক অফার দিয়েছিল। আমাদেরকে তারা বিরোধী দল বানানোরও চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা পরিষ্কার বলেছিলাম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমরা রাজনীতি করি এই দেশে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি, প্রোগ্রাম করে দেখেছি মানুষ এখন ইসলামকে রাষ্ট্র পরিচালনায় দেখতে চাই। তাই আমি বলতে চাই, আমাদের ইসলামের বিজয় খুব সন্নিকটে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?