গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাবার প্রধান ফটক নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক অনেকেই এখন বলছে, বিএনপি সংস্কার চায় না। নির্বাচন চায়। আমরা বার বার বলছি, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যেটুকু দরকার সেই সংস্কারটুকু করে নির্বাচনে যেতে চাই। আমরা নির্বাচনের কথা বলছি কেন? ড. আলি রিয়াজ বলছেন, সবাই বলছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাবার নির্বাচন হচ্ছে প্রধান ফটক। প্রধান দরজা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের প্রধান সমস্যাটা কোথায়? আমাদের প্রধান সমস্যা এই দেশে কখনো গণতান্ত্রিক চর্চায় হয়নি। এইখানে সংস্কৃতিই গড়ে উঠেনি।
এখানে গণতান্ত্রিক একটা সংস্কৃতি যদি গড়ে না উঠে তখন বার বার বলতে হবে যে আপনাকে এইটা করতে হবে, ঐটা করতে হবে। এটা ডেমোক্রেসি, এইটা এইভাবে করতে হবে। চর্চা ছাড়া এই জিনিসগুকো কিন্তু গড়ে উঠবে না৷
ইম্পোজ করে কিছু করা সম্ভব হবে না।
মরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে তিনটি নির্বাচন করেছি উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এর মধ্যে একটা নির্বাচন কিন্তু আরেকটা নির্বাচন থেকে ভাল হয়েছে। অর্থ্যাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানুষ গ্রহণ করেছে। মানুষ এটাকে অত্যন্ত জরুরি মনে করেছে। আমরা যদি তখন রাষ্ট্রপতি শাসনে চলে যেতাম তখন সেটা মানুষ কিন্তু গ্রহণ করতো না।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ কে সবাই যেনো মনে রাখে সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমরা যেনো একাত্তরকে ভুলে না যায়। তারপত ধারাবাহিক গণতন্ত্রের যে লড়াই সেটা আমাদের প্রত্যেকেরই মনে রাখার দরকার। আমরা এইটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, আমরা গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের পক্ষে৷ একই সঙ্গে মনে করে জনগণকে বাদ দিয়ে উপর থেকে চাপিয়ে দিয়ে কোন কিছু সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, আমরা ২০১৬ সালে ডকুমেন্টারি বের করেছি, যেখানে রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বলা ছিল। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করা, প্রধানমন্ত্রী যেন ২ বারের বেশি না হতে পারেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের কথা বলেছিলাম।
পরে ২০২২ সালে প্রথমে ১২ দফা, এরপর সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ৩১ দফা দিয়েছি। দীর্ঘ দুই বছর আলোচনা করেছি। অনেকের সঙ্গেই তখন কথা বলে এগুলো করেছি।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?