সাইফুল্লাহ মাসুম, বেরোবি প্রতিনিধিঃ
জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও নিপীড়ন মামলায় গড়িমসি এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের মামলা থেকে বাদ দেয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ।
সোমবার (৫ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসে আসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার বলেন, আবু সাঈদ শহীদ হওয়ার নয় মাস পড়েও আমরা সঠিক বিচার এখন পর্যন্ত পাইনি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে শুরু করে,
কোর্ট কাচারি থেকে শুরু করে সব জায়গায় মামলা নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে, তথাকথিত কয়েকজনের নামে মামলা করে এর আগে যে মামলা হয়েছিল সেখানে মাত্র গুটিকয়েক ছাত্র- শিক্ষক এবং দুইজন কনস্টেবলকে গ্রেফতার দেখিয়ে ক্ষান্ত হয়েছেন তারা।
এখন পর্যন্ত মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে, তাঁরা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁরা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন এবং প্রশাসনের পুলিশেরা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন, তাঁরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় ট্রান্সফার নিয়ে চাকরিতে জয়েন করে আছেন।
যদি আবু সাঈদের মামলা নিয়ে টালবাহানা করা হয় তাহলে আমাদের এ আন্দোলন অতি শীঘ্রই তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।
ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক মুরসালিন মুন্না বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জুলাই বিপ্লবের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের নামে ৯ মাসেও মামলা করতে পারে নি, এটা চরম লজ্জার।
আমরা চাই সকল হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের সকলের নামে মামলা করতে হবে, কারো নাম বাদ দেওয়া যাবে না। সেই সাথে যারা হামলাকারী, মামলায় আসামি, আওয়ামী লীগের দোষর তাদের প্রমোশন, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন করা যাবে না।
এর ব্যতয়ন হলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো। প্রশাসনের টালবাহানা আর চলতে দেওয়া যাবে না।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলীর কাছে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?