আব্দুল্লাহ আল মামুন পিন্টু, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বল্লা ইউনিয়নের রামপুর কোকরাইল গ্রামে রায়হান নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার(৫ মে) সকালে গ্রামের একটি পুকুর থেকে নিহত রায়হানের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করেছ পুলিশ।
নিহত রায়হান উপজেলার কোকরাইল গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে।সে হত্যাসহ মোট পাঁচটি মামলার আসামি ছিলেন। নিহতের পরিবার জানায়, রায়হান সোমবার ভোররাত ২টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে সকালে গ্রামের একটি পুকুরে তার মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের বাবা বাদল মিয়া জানান, ভোর ৪টার দিকে মুন্না নামের একজন আমাকে ডাকতে যায় এবং বলে আপনার ছেলেকে মেরে ফেললো, আমি খবর শুনে ছুটে আসি এবং আশপাশে খোঁজ করি।
খোজাখুজির একপর্যায়ে কোকরাইল গ্রামের রিপনের পুকুরে রক্তাক্ত অবস্থায় তার ছেলের মরদেহ দেখতে পান তিনি। নিহতের স্ত্রী জানান, আমার স্বামী রাত দুইটার দিকে ফোন দিয়ে মুড়ি ভর্তা করার জন্য পেঁয়াজ মরিচ কেটে রাখতে বলে।
তার কিছুক্ষণ পরে বাড়ীতে এসে কেটে রাখা পেঁয়াজ মরিচ ও মুড়ি চানাচুর নিয়ে যায়, সে সময় তিনি প্রচুর মদ্যপ অবস্থায় ছিল এবং তার সাথে আরও একজন লোক ছিলো যাকে আমি চিনতে পারিনি। কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, ‘
নিহত রায়হান মাদক সেবন ও বিক্রয় এবং হত্যাসহ মোট পাঁচটি মামলার আসামি। উল্লেখ্য, নিহত রায়হান নিয়মিত মাদক সেবন এবং মাদক বিক্রির সাথে জড়িত ছিলো। এছাড়াও নিহত রায়হান বহু আলোচিত রামপুরের সলিট হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?