বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রশ্ন তুলেছেন, কার স্বার্থে নির্বাচন পেছানো হচ্ছে এবং এতে কারা লাভবান হচ্ছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আগামী নির্বাচনও কি বর্তমান ক্ষমতাসীনদের প্রভাবে পরিচালিত হবে? এই প্রশ্ন এখন জনগণের মধ্যে উঠছে।
চট্টগ্রামের মেহেদীবাগে নিজ বাসভবনে ঈদ উপলক্ষে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়। এই নিয়ে একটা ঐকমত্যও প্রায় গঠিত হয়েছিল। বিচারিক প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং তা স্বাভাবিক গতিতেই চলবে। সরকারের হাতে বিচারপ্রক্রিয়া পরিচালনার সুযোগ নেই। সবকিছু যখন পরিষ্কার, তখন হঠাৎ করে নির্বাচন এপ্রিল মাসে নেওয়ার অর্থ কী—এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অথচ সেপ্টেম্বর, অক্টোবর কিংবা নভেম্বরেও নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, অনেক চিন্তাভাবনার পরেই ডিসেম্বরকে নির্বাচনকাল হিসেবে নির্ধারণের কথা বলা হয়েছিল, কারণ এরপরেই শুরু হবে রমজান মাস। রমজানের সময় কোনো নির্বাচনী তৎপরতা পরিচালনা করা কঠিন হয়। তারপরে রয়েছে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা, বৈরি আবহাওয়া ও কালবৈশাখীর মতো প্রতিবন্ধকতা। তাই এ সময়ের পর নির্বাচন সম্ভব নয় বলেই ডিসেম্বরের কথা এসেছে।
নির্বাচনের সময়সূচি নির্ধারণের পেছনে কারা লাভবান হচ্ছে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তার মতে, একটি নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা নির্ধারিত সময়েই হয় এবং সেই সময় নির্ধারণও হয় সাংবিধানিক কাঠামোর ভেতরে। কিন্তু বর্তমানে দেশে কোনো নির্বাচিত সরকার বা সংসদ নেই।
এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হলে সেটি হতে হবে জাতীয় ঐকমত্য ও রাজনৈতিক মতামতের ভিত্তিতে। আর সেই মতামত সৃষ্টি হয়েছে ডিসেম্বরকে ঘিরে। তারপরও কেন এপ্রিলে নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ—এই প্রশ্নই এখন প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি কারো স্বার্থে হচ্ছে, না কি এর পেছনে অন্য কোনো হিসাব লুকিয়ে আছে—এ নিয়েই জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?