আজ রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির শীর্ষ নেতারা গণমাধ্যমকে জানান, বৈঠকে নির্বাচন রোডম্যাপ বিষয়ে স্পেসিফিক কোনো আলোচনা হয়নি, বা কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা শুধু আমাদের দাবি জানিয়েছি। হয়তো বা উনারা প্রেসের মাধ্যমে জানাবেন, আমরা অপেক্ষায় আছি। উনারা জানানোর পরে আমরা প্রতিক্রিয়া জানাবো।”
বিএনপির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উত্তরণের লক্ষ্যে আমরা প্রথম থেকেই একটি স্পষ্ট জাতীয় নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবি করে আসছি। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের যারা অতীতে দমন-পীড়নের জন্য দায়ী, তাদের বিচারের দাবি বিএনপির। সেই বিচার যদি অসম্পূর্ণ থাকে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে তা সম্পন্ন করা হবে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, ডিসেম্বরে আগেই নির্বাচন সম্ভব—এ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সালাহ উদ্দিন আহমদ পুনরায় বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
মোশাররফ হোসেনের মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনা। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যদি নির্বাচন বিলম্বিত করা হয়, তবে তা স্বৈরাচারের জন্য পথ খুলে দেবে এবং তার দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে।
বৈঠকটি প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয়, যেখানে বিএনপি তাদের দাবি-দাওয়া ও রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করে। এখন তারা প্রধান উপদেষ্টার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?