‘পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় জামায়াতপন্থী কোনো মুয়াজ্জিন আজান দিতে পারবে না এবং জামায়াতের কোনো ইমাম নামাজ পড়াতে পারবে না’ বলে হুশিয়ারি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব।
তিনি বলেন, দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে সেটা তো নেবেই। তার সঙ্গে আমার কোন দ্বিমত নেই। কিন্তু আমি আজকে বলবো, ভবিষ্যৎ তো পরে। আটঘরিয়ায় কোনো মসজিদে জামায়াতের কোনো মুয়াজ্জিন আজান দিতে পারবে না, জামায়াতের কোনো ইমাম ঈমামতি করতে পারবে না। গত শুক্রবার দেবোত্তর বাজার জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ মসজিদে পড়তে পারেনি মানুষ। তালা দিয়ে পালিয়েছে। কতটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
হাবিব বলেন, তারা মিথ্যা কথা বলে। এদের পেছনে নামাজ হয় না। এরা স্বাধীনতা বিরোধী রগ কাটা গ্রুপ। এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। পাকিস্তানের দোসর ছিল। তাই আটঘরিয়াবাসীকে আহবান জানাবো এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
জামায়াতের অফিসে কোরআন ও হাদিস পোড়ানোর বিষয়ে হাবিব বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা কুরআন পোড়ায়নি। তারা (জামায়াত) নিজেরাই কোরআন পুড়িয়েছে। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী কুরআন পোড়াতে পারে না এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। যদি বিএনপির নেতাকর্মীদের কুরআন পোড়ানোর ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারেন তাহলে সমস্ত দায় দায়িত্ব আমি নেব। আর আমাদের যে একশ’টি মোটরসাইকেল ভাঙছে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তাদের।

বিএনপি অফিস ভাংচুর ও ধুমরে-মুচরে যাওয়া মটোরসাইকেল
গত ১৫ই মে (বৃহস্পতিবার) পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের অভিভাবক সদস্য পদে মনোনয়ন ফরম তোলা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির নকিবুল্লাহ, সাবেক আমির নাসির, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ালিউল্লাহসহ বেশকিছু নেতাকর্মী গিয়ে তাদের মনোনীত একজনের মনোনয়নপত্র চান। এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় জামায়াতের একজন মারধরের শিকার হন।
এ খবর পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতে ইসলামী, ছাত্র শিবিরসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেবোত্তর বাজারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর করে।
সন্ধ্যার দিকে সশস্ত্র অবস্থায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে দেবোত্তর বাজারে বিএনপি অফিস ও আশপাশের কমপক্ষে ২৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালায়।
পরে বিএনপি নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর করে ওবং অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় জামায়াতের কার্যালয় থেকে ১০০/১৫০ টি পবিত্র কোরআনের কপি পুড়ে যায়, সাথে অন্যান্য ইসলামী সাহিত্য ও পুরে যায়।

জামায়াতের অফিসে আগুন লাগায় পুরে যায় শতাধিক পবিত্র কোরাআনের কপি

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?