রাজধানীর শাহবাগে চলমান গণজমায়েত থেকে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। শনিবার (১০ মে) রাত পৌনে আটটার দিকে হাজারো ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে তিনি বলেন,
“এক ঘণ্টার মধ্যে যদি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করা হয়, তাহলে আমরা যমুনার দিকে লং মার্চ করব।”
তিনি বলেন,
“এই জমায়েত কোনো একক দলের নয়—এটা ছাত্র-জনতার, এটা নির্যাতিত মানুষের, এটা জুলাই বিপ্লবের উত্তরসূরিদের। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ দেখতে চাই।”
এ সময় তিনি তিন দফা দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন:
১. আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনসমূহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে দলগত বিচারের বিধান সংযোজন করতে হবে।
৩. জুলাই ঘোষণাপত্র অবিলম্বে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিতে হবে।
গণজমায়েতে বক্তারা জানান, এই দাবি বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে শাহবাগ ঘেরাও থেকে শুরু করে সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও করা হবে। এনসিপির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সেখানে উপস্থিত ছিল ইনকিলাব মঞ্চ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলামসহ আরও অন্তত ৩৫টি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
শাহবাগে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে চারপাশ: “ব্যান করো, ব্যান করো—আওয়ামী লীগকে ব্যান করো”, “আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে?” ও “এই মুহূর্তে নিষিদ্ধ করো”।
এদিকে, আন্দোলন চলাকালীন পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ব্যাহত না হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হস্তক্ষেপ করবে না।
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে, যেখানে একটি আল্টিমেটামের সামনে দাঁড়িয়ে আছে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি সম্ভাব্য মোড় ঘোরানোর ইঙ্গিত হতে পারে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?