আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা বর্তমান সরকারের রয়েছে এবং এ কাজটি করা সম্ভব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় প্রণীত বিশেষ ক্ষমতা আইনের মাধ্যমেই—এমন মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বণিক সমিতির আয়োজনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,
“১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বিশেষ ক্ষমতা আইন করেছিলেন, সেই আইনের ১৯ নম্বর ধারায় রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব। সেই আইনের সুযোগ এখনো রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন,
“জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই বিপ্লবের সময় অন্তত ২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ৩০ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করেছে। এই সহিংসতার পেছনে মূল ভূমিকায় ছিল আওয়ামী লীগ। জনগণের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করায় এই দলটিকে নিষিদ্ধের জন্য সরকার চাইলে আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে।”
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন,
“এই আইনের সুযোগ এখনো বর্তমান সরকারের হাতে আছে। আওয়ামী লীগের প্রতাপে যারা মুখ খুলতে ভয় পায়, তারা এখন আর ভয় পায় না। সময় এসেছে রাজনৈতিক সন্ত্রাস, দুর্নীতি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের জবাব দেওয়ার।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বণিক সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর সবুর খান, ঝিনাইদহ জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন বাবর ফিরোজসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে অবস্থান করছে একাধিক রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে থেকে শুরু করে শাহবাগ, পল্টন ও দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে অবরোধ কর্মসূচি। এমন প্রেক্ষাপটে অ্যাটর্নি জেনারেলের এ বক্তব্যকে রাজনৈতিক অঙ্গনে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।