ফয়সাল হোসাইন সনি, রাজশাহী ব্যুরো:
বগুড়ায় এনসিপির সমাবেশ চলাকালে দুই গ্রুপের মারামারিতে উভয় গ্রুপের আহত হয়েছেন ৮ জন। পুলিশ ঘটনা বিষয়ে আগের থেকে জানলেও নেইনি ব্যবস্থা। ঘটনা ঘটেছে পুলিশের উপস্থিতিতেই এমন দাবী করছেন আহতরা। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের দাবীও করেন আহতরা। ৩০ এপ্রিল বুধবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তন চত্বরে সমাবেশ স্থলে এঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, জেলার গাবতলী উপজেলার হাটফুলবাড়ির শালুকগাড়ি এলাকার ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন বগুড়ার যুগ্ম আহবায়ক রিয়াদ হাসান (২৬), শহরের উত্তর চেলোপাড়ার বাসিন্দা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন বগুড়া সংগঠক জুনায়েদ হোসেন (২১), গাবতলী উপজেলার পদ্মপাড়ার বাসিন্দা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন বগুড়া সদস্য তাওহিদ (১৯), বগুড়া শহরের বৃন্দাবন পাড়ার বাসিন্দা ও সংগঠনের সদস্য তাহমীদ হোসেন (২৫) সহ আরও ৩ জন। অপরপক্ষের এনসিপির কর্মী নাম মোঃ আফ্রিদী হাসান (২৫) আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিয়াদ, তাহমীদ, জুনায়েদ ও তাওহীদ চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া আহত ৩ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আহতরা জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে পৌছার সাথে সাথে এনসিপি’র জেলার নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এসময় হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরিকাঘাত করেছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বগুড়ার আহবায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, এই হামলা চালানো হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে এঘটনা ঘটল। অথচ তারা কোন হস্তক্ষেপ করেননি। অবশ্যই এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে এবং এনসিপি’র জড়িত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
হামলার বিষয়ে এনসিপি নেতা এ এম জেড শাহরিয়ার বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা সমাবেশ পন্ড করার চেষ্টা করে। এসময় তাদের প্রতিহত করা হয়। এসময় তাদের মারামারি থামানোর চেষ্টা করি। এই ঘটনায় সদ্য ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছাত্র সংসদে যোগদান করা আমাদের একজন আহত হয়েছেন।
বগুড়া সদর থানার তদন্ত ইন্সপেক্টর মাহফুজ জানান, আমাদের সামনে দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় আহত হওয়ার খবর শুনেছি। এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ আগের থেকে ঘটনা ঘটবে জানেন ও পুলিশের উপস্থিতিতে এমন ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ট্রাফিক ও মিডিয়া উইং, আতোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ আগের থেকে জানে কি না এই টা আমার জানা নেই। পুলিশের উপস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে এই টাও আমার জানা নেই, বিষয়টি জেনে আপনাকে জানাবো।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?