বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট মুখাকৃতি বানানো চিত্রশিল্পীর বাড়িতে আওয়ামী দুর্বৃত্তদের আগুন

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া বাজার এলাকায় চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) গভীর রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মানবেন্দ্রের পরিবার। আগুনে তার বাড়ির একটি কক্ষ সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষ একটি শোভামণ্ডপের শিল্পনির্মাণে […]

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট মুখাকৃতি বানানো চিত্রশিল্পীর বাড়িতে আওয়ামী দুর্বৃত্তদের আগুন

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৩৮

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া বাজার এলাকায় চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) গভীর রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মানবেন্দ্রের পরিবার। আগুনে তার বাড়ির একটি কক্ষ সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে।

পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষ একটি শোভামণ্ডপের শিল্পনির্মাণে অংশ নেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দাবি করা হয়, সেখানে প্রদর্শিত একটি শিল্পকর্মে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখাকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যদিও মানবেন্দ্র এই দাবি সরাসরি অস্বীকার করে বলেন, “আমি শেখ হাসিনার কোনো মুখাকৃতি তৈরি করিনি, আমি বাঘের মোটিফ নির্মাণ করেছি, যেটি বৈশাখী শোভাযাত্রার ঐতিহ্যবাহী উপাদান।”

এই বিতর্কের পর মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। আগুনে ঘরে থাকা বিভিন্ন চিত্রকর্ম, বইপত্র এবং আসবাবপত্র পুড়ে যায়। ঘটনার সময় পরিবারের সদস্যরা বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন, তবে ভাগ্যক্রমে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে বুধবার (১৬ এপ্রিল) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মানবেন্দ্র ঘোষ লিখেছেন, “আমাদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।” এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মানবেন্দ্র বলেন, “আমি ও আমার পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের বিরুদ্ধে যেভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তাতে যেকোনো মুহূর্তে আরও বড় হামলার আশঙ্কা রয়েছে। আমি সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি, যাতে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় এবং দোষীদের খুঁজে বের করা হয়।”

ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ। তিনি জানান, “ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।” ওসি আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত কেউ এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি, তবে আমরা সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য সংগ্রহ করছি।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাসার খুব কাছেই, একই এলাকার মধ্যে অবস্থিত। এলাকাবাসীর অনেকেই ধারণা করছেন, রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই শোভাযাত্রার একটি উপাদানকে কেন্দ্র করে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে এই হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গল শোভাযাত্রা জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তালিকাভুক্ত একটি বাঙালি নববর্ষ উদযাপনের অংশ, যেখানে প্রতীকী ভাস্কর্য ও মুখোশের মাধ্যমে সামাজিক-রাজনৈতিক বার্তা তুলে ধরা হয়। এবারের শোভাযাত্রায় মানবেন্দ্র ঘোষের সহকর্মী এবং শিক্ষার্থীদের তৈরি একটি শোভামণ্ডপ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর আলোচনা সৃষ্টি হয়, যেখানে কিছু রাজনৈতিক দলের অনুসারীরা অভিযোগ তোলে—শেখ হাসিনার ব্যঙ্গচিত্র নির্মাণ করা হয়েছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে শিল্পীর নিরাপত্তা, শিল্পের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা—এই তিনটি ইস্যু আবারও জনমনে প্রশ্ন তুলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন, “শিল্পের ব্যাখ্যা যদি ভুল হয়, তাহলে দায় কি কল্পনার ওপর পড়ে?” কেউ কেউ আবার এটিকে সুশৃঙ্খল দমননীতির অংশ বলেও উল্লেখ করেছেন।

সরকারি পর্যায় থেকে এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এই অগ্নিসংযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে মানবাধিকার সংগঠন এবং শিল্পমহলের প্রতিনিধিরা দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

এখন প্রশ্ন উঠছে—একজন শিল্পীর কল্পনা ও সৃষ্টিশীলতা যদি রাজনৈতিক প্রতিশোধের শিকার হয়, তাহলে সে সমাজ কতটা নিরাপদ, কতটা সহনশীল? মানবেন্দ্র ঘোষের ঘটনায় সেই প্রশ্ন আরও একবার সামনে উঠে এসেছে।

২৮ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ১৫২২

রাজনীতি

আমার স্বামী’ র শেষ কথা ছিল,বিডিআরের পোশাকে ভারতীয়রা : নি হ ত মেজরের স্ত্রী

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের পোশাকে লীগের নেতারা আছে দরবার হলের ভিতরে।

দ্বিতীয়ত সে আমাকে বলেছিল, কিছু বিডিআর জওয়ান সে দেখছে যাদের বয়স বিডিআরের চাকরি করে যারা তাদের থেকে বেশি। তিন নাম্বার সে বলেছিল, এনএসডি। আমি এখন পর‌্যন্ত মিডিয়াতে এই কথাটা বলিনি। আমার হাসবেন্ড দুইবার আমাকে এই শব্দটা বলেছে, আমি তখনও বুঝিনি।

আমি জিজ্ঞেস করায় আমার হাসবেন্ড বলেছিল ইন্ডিয়ানস (ভারতীয়)। ও কথাটা বলে শেষ করতে পারেনি, আমাকে গলা ধরে বের করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, যে লোকগুলো রুম থেকে বের করে নিয়ে যায় আমাকে, যাওয়ার পরে আমি শুনতে পাই তারা হিন্দিতে কথা বলছে।

০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
poll_title
ফ্যাসিবাদী শক্তির রাজনীতি

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৮২৬

রাজনীতি

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে যে আসন থেকে লড়বেন, হাসনাত-সারজিসসহ অন্যরা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:৪৬

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই

নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।

এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা তাদের এলাকায় যাচ্ছেন এবং স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন আব্দুল হান্নান মাসুদ নোয়াখালী-৬ আসন থেকে নির্বাচন করতে কাজ শুরু করেছেন।

এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী চট্টগ্রামে, মো. আব্দুল আহাদ দিনাজপুরে, আশরাফ উদ্দিন মাহদি ও মো. আতাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, অনিক রায় সুনামগঞ্জে, মনিরা

শারমিন নওগাঁয়, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জে, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে, আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জে, সারোয়ার তুষার নরসিংদীতে, মশিউর রহমান ঝালকাঠিতে, মো. নিজাম উদ্দিন নোয়াখালীতে এবং আলী আহসান জোনায়েদ ঢাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না খুলনায়, প্রীতম দাশ হবিগঞ্জে, আবু সাঈদ লিওন নীলফামারীতে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনা রংপুরে নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

মোট ভোট: ৫০০

রাজনীতি

হাসিনার পাশে না থাকলে ভাইয়ের মতো আমাকেও ‘ক্রসফায়ার’দেওয়া হতো : নজরুল ইসলাম

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। এদিন তাকে কারাগার […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:১৬

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ৫ দিন করে দুই মামলায় ১০ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

রিমান্ড শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আন্দোলন যখন চলছিল সব ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা একটি মিটিং করেছিল। সেই মিটিংয়ে উনি বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং শেখ হাসিনা বলেছিলেন আপনি চালিয়ে যান আমরা আপনার পাশে আছি। তার এই বক্তব্য সব মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সব জায়গায় তার নিজস্ব লোক নিয়োগ করেছিল। যেমন ফুটবলে নিয়োগ করেছিলেন সালাউদ্দিনকে এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন শ্যামল দত্ত ও সুভাস সিংহ রায়ের মতো লোককে। ব্যবসায় এবং ব্যাংকারদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে লোককে হাসিনা নিয়োগ করেছিলেন সেই লোকটা নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ফারুকী বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে শেখ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য সবকিছু করেছিলেন তিনি। এই মজুমদার তাদের সাথে বসে আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। সেই হিসেবে সে এই অপকর্মের সাথে জড়িত।

এই আন্দোলনে যারা গুলি চালিয়েছে এবং যাদের নির্দেশে চালানো হয়েছে তা থেকে তারা কোনোভাবেই বাঁচতে পারবে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, তিনি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের অনেক বড় শিল্প উদ্যোক্তা। তার অধীনে ৫ লাখ লোক কাজ করে। সে এখন জেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে এসব লোক বেকার হয়ে যাবে।

তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ নেই। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না। সে একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়। তারা ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার জন্য যা করা দরকার করে। জেলহাজতে থাকাকালীন তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে।

তাকে একাধিক মামলায় আগে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু পায়নি। তার শারীরিক যে অবস্থা রিমান্ডে নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।

এরপর নজরুল ইসলাম নিজেই কিছু বলতে চান বলে আদালতকে বলেন। এরপর আদালত অনুমতি দেন।

তখন তিনি বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওই সময় শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে, আমার বড় ভাই ৫ বছর এমপি ছিল। সেই বড় ভাইকে ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে।

আমারও সে অবস্থা হতো। আমার রিমান্ড বাতিল করে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এটা আমার একটা সাবমিশন।’ পরে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১৪৬৫