নাগরিক আন্দোলনভিত্তিক রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনসেনসাস পার্টি (এনসিপি) জানিয়েছে, দেশে প্রয়োজনীয় মৌলিক রাজনৈতিক ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্কার ছাড়া আগামী কোনো জাতীয় নির্বাচনে তারা অংশ নেবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও ‘বিবেচনাধীন’। দলের মুখপাত্র ও আহ্বায়ক পরিষদের সদস্য নাহিদ হাসান এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্থায়ীত্ব ও নির্বাচনের প্রকৃত অর্থ ফেরাতে একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং জনগণের আস্থাসম্পন্ন নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। বর্তমান যে নির্বাচন ব্যবস্থা চলছে, তাতে জনগণের ভোটাধিকার কার্যত খর্ব হচ্ছে।
এই অবস্থায় এনসিপি মনে করে, একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকার এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন ছাড়া সত্যিকারের গণরায় পাওয়া সম্ভব নয়।”
নাহিদ আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যে অনাস্থা ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা শুধুমাত্র নির্বাচন আয়োজন নয়, সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সংস্কারের মধ্য দিয়ে সমাধান করতে হবে। “আমরা দেখতে পাচ্ছি, প্রতিবার নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা, প্রশ্নবিদ্ধ প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক সংঘাত বাড়ছে।
এর থেকে উত্তরণের জন্য মৌলিক সংস্কার যেমন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মিডিয়ার স্বাধীনতা, নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ ক্ষমতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতেই হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনসিপি ক্ষমতার রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা নয়, বরং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে।
দলের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে নাহিদ জানান, “আমরা আমাদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করছি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংলাপ ও সচেতনতা কার্যক্রম চালাচ্ছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব কি না, তা নির্ভর করছে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নের অগ্রগতির ওপর।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, রাজনৈতিক মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আন্তরিক সংলাপ শুরু করার জন্য।
এনসিপি’র বক্তব্য দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, বিশেষত তরুণ ভোটার ও নাগরিক সমাজের মধ্যে। অনেকেই এই অবস্থানকে দায়িত্বশীল এবং রাজনৈতিক নৈতিকতার প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?