মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

ড. ইউনূস কোনো সংস্কার করতে পারেননি : শামা ওবায়েদ

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ছয় মাসে কোন সংস্কার করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজবাড়ী শহরের আজাদী ময়দানে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আজকে শেখ হাসিনা পালানোর ছয় মাস পরেও কেন বিএনপিকে জেলায় জেলায় সমাবেশ […]

নিউজ ডেস্ক

২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯:৫৬

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ছয় মাসে কোন সংস্কার করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজবাড়ী শহরের আজাদী ময়দানে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আজকে শেখ হাসিনা পালানোর ছয় মাস পরেও কেন বিএনপিকে জেলায় জেলায় সমাবেশ করতে হচ্ছে? হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্ত জিনিসের দাম কমেনি। হাসিনা পালিয়েছে, আপনারা সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেননি, দুর্নীতি বন্ধ করতে পারেননি।

হাসিনা পালিয়েছে, কিন্তু এখনো নারীরা ধর্ষিত হচ্ছে, এখনো ডাকাতি হচ্ছে, এখনো খুন হচ্ছে। ইউনূস সাহেব আপনি ছয়-সাত মাসে কোন সংস্কার করতে পারেননি।’

তিনি বলেন, ‘আজকে যদি দুর্নীতি বন্ধ করতে হয়, যদি অর্থনীতির উন্নয়ন করতে হয়, যদি ব্যাংকিং খাত ঠিক করতে হয়, যদি আমাদের তরুণ প্রজন্মের নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা সারাবাংলাদেশে প্রণয়ন করতে হবে।’

শামা ওবায়েদ বলেন, ‘তারেক রহমান সেই নেতা; যদি আগামীকাল বাংলাদেশে সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে বিএনপি সরকার গঠন করবে, তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন এটা আমরা জানি। এটা জানা সত্ত্বেও তারেক রহমান এমন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যে উনি নিজে ৩১ দফায় লিখেছেন যে, একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না।

কারণ ক্ষমতার লোভে জিয়া পরিবার রাজনীতি করেনা। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯ দফা দিয়ে গেছেন। উনি রাষ্ট্রকে-দেশকে উন্নয়নের জন্য ভীত স্থাপন করে দিয়ে গেছেন, যেটিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈারাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন, যেভাবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের রাজপথে থাকতে হবে। কারণ একটি সুষ্ঠু ভোট গত ১৫ বছরে আমরা পাইনি। এখনো আমাদের ১৮ বছরের ছেলে-মেয়েরা ভোট দিতে পারেনি। আমরা ভোট দিতে চাই। এই সরকারের স্থানীয় নির্বাচন করার কোন ম্যান্ডেট নেই।’

বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আপনারা সংস্কারের কথা বলেন, এইটা করবো সেইটা করবো। বিএনপিইতো প্রথমে সংস্কারের কথা বলেছে। আড়াই বছর আগে ২৭ দফা দিয়েছিলেন দেশনায়ক তারেক রহমান। যেটা শেখ হাসিনা প্রচার করতে দেয়নি। এখন ৩১ দফা দিয়েছে সেই বিএনপিই।

বিএনপিই প্রথম বাংলাদেশে সংস্কারের কথা বলেছে এবং বিএনপিই সংস্কার করবে। সুতরাং আপনারা অতি শীঘ্রই একটি রোডম্যাপ দিবেন। আগামী দিনে আমাদের ১৭ কোটি মানুষ যাতে একটি সুন্দর ভোট দেখতে পারে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেন বাংলাদেশ ফিরে আসে সে ব্যবস্থা আপনারা করবেন বলে আমরা আশা রাখি।’

জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম,

কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল আলম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ-হারুন বক্তব্য দেন।

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী এবং সঞ্চালনা করেন যুগ্মআহ্বায়ক রেজাউল করিম পিন্টু ও আকমল হোসেন।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলার দাবিতে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী এ জনসভার আয়োজন করে রাজবাড়ী জেলা বিএনপি।

১৩ নভেম্বর ২০২৫
poll_title
আপনি কি জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৫৩৬০

রাজনীতি

বিএনপি নেত্রী নিলুফার মনিকে ক্ষমা চাইতে হবে, না হলে ব্যবস্থা নেবে ছাত্রশিবির

য়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অথচ নিলুফার মনি ক্ষমতাসীনদের অপরাধ আড়াল করতে নির্জলা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। তিনি আসলে আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগের সীমাহীন খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের দায় এড়াতে শিবিরকে বলির পাঁঠা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন

নিউজ ডেস্ক

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৩

বিএনপি নেত্রী নিলুফার চৌধুরী মনির বক্তব্যকে ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ঘৃণ্য অপপ্রচার আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, আদালতের রায়ে প্রমাণিত সত্য হলো—বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অথচ নিলুফার মনি ক্ষমতাসীনদের অপরাধ আড়াল করতে নির্জলা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। তিনি আসলে আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগের সীমাহীন খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের দায় এড়াতে শিবিরকে বলির পাঁঠা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে জনগণের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তিনি কি পতিত ফ্যাসিস্টদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন?

শিবিরের নেতারা আরও বলেন, গত ১৬ বছরে সংগঠনের ১০১ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ২০ হাজারেরও বেশি মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়েছে, সাতজন এখনো গুম রয়েছে। এই সময়ে ছাত্রলীগই ক্যাম্পাসগুলোতে দাপটের সঙ্গে খুন, ধর্ষণ, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি চালিয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশ্বজিতকেও শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ভয়াবহ নজির সৃষ্টি করেছে ছাত্রলীগ। অথচ এই সব অপরাধ অস্বীকার করে নিলুফার মনি আজ শিবিরকে দোষারোপ করছেন। এটি নিছক মিথ্যাচার নয়, বরং দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করার নগ্ন ষড়যন্ত্র।

তারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবিলম্বে এই অসত্য বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় ছাত্রশিবির আইনিভাবে কঠোর জবাব দেবে। দেশের মানুষ এখন খুব ভালো করেই জানে কারা আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে এবং কারা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত করেছে।

১৩ নভেম্বর ২০২৫
poll_title
আপনি কি জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৫৩৬০

রাজনীতি

হামলার আগে সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুরকে ফোনে হুমকি দেয় : জাহের

“হামলা আগে সেনা প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর কে ফোনে হুমকি দেয়”- এমন অভিযোগ করেন গণঅধিকার উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুর জাহের। এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে জাহের বলেন,”নুরুল হক নুরের উপর হামলার আগে সেনাবাহিনী প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর ভাইকে ফোন দেয়, জাতীয় পার্টি এবং জিএম কাদেরের বিষয়ে কিছু না বলার জন্য বলে।” […]

হামলার আগে সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুরকে ফোনে হুমকি দেয় : জাহের

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

৩০ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১২

“হামলা আগে সেনা প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর কে ফোনে হুমকি দেয়”- এমন অভিযোগ করেন গণঅধিকার উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুর জাহের।

এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে জাহের বলেন,”নুরুল হক নুরের উপর হামলার আগে সেনাবাহিনী প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর ভাইকে ফোন দেয়, জাতীয় পার্টি এবং জিএম কাদেরের বিষয়ে কিছু না বলার জন্য বলে।”

“নুর ভাই স্পষ্ট করে বলে, জাতীয় পার্টি এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান আগের মতই। তখন বিগ্রেডিয়ার শামস এটার ফল ভালো হবে না বলে নুর ভাইকে থ্রেট করে।”

এর কিছুক্ষণ পরেই আজকের হামলার মূল হোতা ক্যাপ্টেইন রাকিবের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা শুরু হয়। নুর ভাই আমাদের কার্যালয়ের সামনে প্রেসব্রিফিংয়ে ছিল। সেনাবাহিনী এবং পুলিশ কোনপ্রকার কথা ছাড়াই নুর ভাইকে হ/ত্যা/র উদ্দেশ্যে হামলা করে।

আমাদের কার্যালয়ের ভিতরে আমাদের আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি টয়লেট ভেঙ্গেও নেতাকর্মীদের উপর হা/ম/লা করে সেনাবাহিনী।

ওয়াকারের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস কার নির্দেশে আজ নুরুল হক নুরকে হুমকি দিয়েছে? জাতীয় পার্টির এবং জিএম কাদেরকে কার স্বার্থে প্রতিষ্ঠা করছে সেনাবাহিনী?

আজ নুরুল হক নুরের উপর আপাতত দৃষ্টিতে সেনাবাহিনীর হামলা করলেও মূলত পতিত সরকারই এই হামলার মাস্টার মাইন্ড।

লিখে রাখুন, আজ নুরুল হক নুর! কাল হাসনাত! পরশু আরেকজন।
এভাবেই পতিত সরকার ২৪এর প্রতিশোধ নিবে।

১৩ নভেম্বর ২০২৫
poll_title
আপনি কি জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৫৩৬০

রাজনীতি

রুদ্ধদ্বার বৈঠকে গোপন সিদ্ধান্ত বিএনপির, ১৫০ প্রার্থীকে সবুজ সংকেত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘ এক বছরের যাচাই-বাছাই ও বিভাগীয় পর্যায়ের একাধিক বৈঠকের পরও সব আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। তবে দলটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন প্রার্থীকে মনোনয়নের সবুজ সংকেত দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বিএনপি এবার একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬০ আসনে […]

নিউজ ডেস্ক

২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৩৪

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘ এক বছরের যাচাই-বাছাই ও বিভাগীয় পর্যায়ের একাধিক বৈঠকের পরও সব আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। তবে দলটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন প্রার্থীকে মনোনয়নের সবুজ সংকেত দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপি এবার একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬০ আসনে নিজেদের প্রার্থী দিতে এবং শরিকদের জন্য ৪০ আসন ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বিএনপির জোটে যুক্ত হলে তাদের জন্য ৮টি আসন রাখার বিষয়েও আলোচনা চলছে।

এক বছর আগে থেকেই সারাদেশে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করে বিএনপি। প্রথমে প্রায় ৯০০ সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা তৈরি করে তা লন্ডনে হাইকমান্ডে পাঠানো হয়। সেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই প্রার্থীদের যোগ্যতা, জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক ভূমিকা যাচাই করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্তের গতি বাড়ায়। গত ২৬ ও ২৭ অক্টোবর গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিভাগভিত্তিক মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

তারেক রহমান বৈঠকে বলেন, “এই নির্বাচন বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যাকে যেখানে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। কোনো বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না।”

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, প্রার্থী নির্ধারণের বিভাগীয় বৈঠক শেষ হয়েছে, এখন মূল লক্ষ্য দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য নিশ্চিত করা।

বর্তমানে বিএনপি প্রায় ৪০টি সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তবে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে শরিকদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। ফলে, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন তালিকা ও জোট গঠনের রূপরেখাই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।

১৩ নভেম্বর ২০২৫
poll_title
আপনি কি জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৫৩৬০