জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত নায়েবে আমির আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী অভিযোগ করেছেন যে, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে তাঁর পরিবার দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাদের জীবনে একের পর এক সমস্যা তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, মাসুদ সাঈদী বলেন, হাসিনার শাসনামলে তাঁর পরিবারের সম্মানিত পিতাকে পরিকল্পিতভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল, এবং শুধু আটকে রেখেই ক্ষান্ত হয়নি, তাঁর হত্যাও করা হয়েছে। মাসুদ বলেন, “আমার ভাইকেও হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, এবং আমি মনে করি তাঁকেও হত্যা করা হয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের আক্রমণের ফলে তাঁর পরিবারকে ছোটখাটো ব্যবসাও করতে দেওয়া হয়নি এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ৬০টিরও বেশি মামলা করা হয়েছে। বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর এবং সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে এসব মামলা হয়। মাসুদ বলেন, “আমাদের প্রায় প্রত্যেককেই জেল খাটতে হয়েছে।”
২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট, তাঁর পিতা আল্লামা সাঈদীর মৃত্যুর পর ঘটে এক ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ঢাকার পিজি হাসপাতালে পুলিশ গুলি, টিয়ারসেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং লাঠিচার্জসহ নানান ঘৃণ্য কাজ করে। “রাত শেষে একটি মামলা করা হলো এবং আমাকে প্রধান আসামি করা হলো,” বলেন মাসুদ। তিনি এই ঘটনাকে শেখ হাসিনার মানসিক বিকারগ্রস্ত আচরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে, মাসুদ সাঈদী দাবি করেন যে, জামায়াতের নেতাদের মৃত্যুর জন্য, বিশেষ করে আল্লামা সাঈদীর হত্যার জন্য আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা এবং ভারত তিনটি পক্ষই সমানভাবে দায়ী। তিনি জানান, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগের ৫ সদস্যের একটি টিম ভারত গিয়েছিল এবং ফিরতে ফিরতে ১৪ আগস্ট আল্লামা সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছিল। “এগুলো স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভারতের ইঙ্গিত ছিল,” মন্তব্য করেন মাসুদ।
এভাবে, জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ফাঁসি দেওয়া এবং তাঁদের রাজনৈতিক শত্রুদের প্রভাবে যেভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা এখন নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?