বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘শেষ আন্দোলনটি রাজনৈতিক ছিল না, অধিকার আদায়ের আন্দোলন ছিল। এ আন্দোলনের শহিদদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া হোক। সব আগাছা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। যুদ্ধ শেষ হয়নি, শুরু হয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ ময়দানে জেলা ও মহানগর জামায়াত আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ সবার জন্মভূমি, একটি গোষ্ঠী সাড়ে ২৩ বছর শাসনকালে নানা অজুহাতে দেশকে বিভক্ত করেছে। দল ও গণহত্যাকারী প্রত্যেকের বিচার হতে হবে। ওদেরকে ওদের অপকর্মের পাওনা পরিশোধ করতে হবে। আগে গণহত্যার বিচার হোক, ক্ষতিগ্রস্তরা বিচার পাক। তারপর তারাই সিদ্ধান্ত নেবে ফ্যাসিবাদীরা নির্বাচন করতে পারবে কিনা।’
জামায়াতের আমীর বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা ছিল গণহত্যারীদের সিন্ডিকেট। রাজনীতির নাম যদি গণহত্যা হয়, তাহলে জনগণ তা বরদাস্ত করবে না।’
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘অনেকেই আন্দোলনের কৃতিত্ব দাবি করে, মূল কৃতিত্ব ছাত্র-জনতার। তাদের ত্যাগ আল্লাহতালার পছন্দ হয়েছে। আল্লাহর ইচ্ছায় ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। অতীতে যা হয়েছে তার স্বাক্ষী জনগণ। আসুন ফ্যাসিবাদকে কবর দিয়ে সামনে এগিয়ে যাই। চাঁদাবাজ লুণ্ঠনকারীদের স্থান এখানে নেই। দ্বীনের ভিত্তিতে ইসলামের সাম্যের এক মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
জামায়াত আমীর বলেন, ‘বরিশালকে উন্নত হিসেবে দেখতে চাই। আমরা চাই এ উন্নয়ন হবে বৈষম্যহীনভাবে। এজন্য ভোলার গ্যাস বরিশালে আসতে হবে এবং বরিশাল থেকে সেতু ভোলায় যেতে হবে।
আগামীতে সরকারে গেলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বরিশালে সব সমস্যার সমাধান করা হবে। আর যদি বিরোধী শিবিরেই বসতে হয় তাহলে বরিশালবাসীর দাবির সাথে একাত্ম হয়ে আওয়াজ তুলব।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?