নারীরা যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আল্লাহর আইন সবার জন্য সমান। আমরা সেই আইনের জন্য লড়াই করছি। আমি মানুষকে মানুষের মর্যাদা দিব। যদি প্রত্যেকটা মানুষ মানুষকে সম্মান দেয়, ভালোবাসে। তাহলে এই দেশ জান্নাতের টুকরোয় পরিণত হবে’। আওয়ামী লীগ জাতির সঙ্গে বেঈমানি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তারা জুলুম-গণহত্যা চালিয়েছে।
দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিওনের অ্যাকাউন্টে পাওয়া গেছে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা। পিওনের এত টাকা থাকলে তিনি কত টাকার মালিক? টাকা পাচার করে যারা বিদেশে বেগমপাড়া তৈরি করেছে তারাই দেশের টাকা চুরি করেছে’।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমানে বলেছেন, ‘নারী-পুরুষের ব্যবধান এনে আমাদেরকে বলে- জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে এদেশের মানুষ বিপদে পড়বে। মহিলারা মায়ের জাতি, আমরা তাদেরকে মায়ের মতো সম্মান করি। যারা সন্তুষ্টির সঙ্গে বোরকা পরতে চাইবেন, তারা পরবেন। অন্যান্য ধর্মের মায়েদের আমি কীভাবে বোরকা পরাবো? ইসলাম কি আমাদের এই দায়িত্ব বা অধিকার দিয়েছে?
তিনি বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। বলবেন, তার প্রমাণ কি আপনারা যে পারবেন? তার প্রমাণ হচ্ছে, আমাদের দলের কর্মীরা চাঁদাবাজিও করে না, দখলদাবাজিও করে না’। জামায়াতে আমির আজ শনিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে দলের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কর্মী সম্মেলন সফল করতে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার তিন জেলাসহ যশোর, ঝিনাইদহ ও রাজবাড়ি জেলার নেতা-কর্মীরা এ সম্মেলনে শরীক হন। এতে তীব্র শীত উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে সভাস্থল। সম্মেলনে ড. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা যা পছন্দ করবেন, তাই পরবেন। পোশাকের ব্যাপারে জোর খাটানো যাবে না।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশে যেখানেই তাদের হাঁড়িতে হাত পড়ছে, সেখানেই শুধু টাকার খনি। এত টাকা তারা পেল কোথায়? রূপপুর প্রকল্পে শুধুমাত্র একটি প্রকল্পে ৫৭ হাজার কোটি চুরি করা হয়েছে। একটা পদ্মা ব্রিজ নির্মাণে যে পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়েছে, ওই টাকায় আরও কমপক্ষে চারটি পদ্মা ব্রিজ নির্মাণ করা যেত’। তিনি আরও বলেন, ‘যারা ধর্মের বিভাজন তৈরি করে মেজরিটি মাইনরিটি দিয়ে তারাই ৫৩ বছর আপনাদেরকে কষ্ট দিয়েছে। আমাদের দলের কেউই এসব অপকর্মে জড়িত নাই। অথচ দোষ দেন আমাদের ঘাড়ে। জামায়াতে আমির বলেন, ‘যে সমাজে চাঁদাবাজি-ঘুষখোর থাকবে না, যে সমাজে দখল বাণিজ্য চলবে না, মানুষে-মানুষে ধর্মে-ধর্মে বৈষম্য থাকবে না। সেই সমাজ গড়ার জন্য লড়াই করতে হবে। আমর সেই লড়াই চালিয়ে যাব’।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?