শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

আরও দুই বছর সময় দিতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে : নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আরও দুই বছর সময় দিতে হবে। দেশের সংস্কারের ক্ষেত্রে এই সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। হাসিনার পতন না ঘটলে তো আরও ৪ বছর থাকত, তাই এই সরকারকে ২ বছর সময় দিলে তো ক্ষতি নেই। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় ডাকসু ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত […]

নিউজ ডেস্ক

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:০৯

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আরও দুই বছর সময় দিতে হবে। দেশের সংস্কারের ক্ষেত্রে এই সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। হাসিনার পতন না ঘটলে তো আরও ৪ বছর থাকত, তাই এই সরকারকে ২ বছর সময় দিলে তো ক্ষতি নেই।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় ডাকসু ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নুরুল হক নুর বলেছেন, কোনো কোনো উপদেষ্টা ব্যর্থ হলে তাদের সমালোচনা করতে হবে, দরকার হলে তাদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করতে হবে কিন্তু দেশের সংস্কারের কাজ ও গণহত্যার বিচারগুলো এ সরকারকেই করতে হবে।

গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সব সেক্টরে তাদের দোসরদের বসিয়েছে উল্লেখ করে আলোচনা সভায় নূর বলেন, শুধু পুলিশের সংস্কার নয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিচারবিভাগ, নির্বাচন কমিশন, সশস্ত্রবাহিনীসহ সব ক্ষেত্রে সংস্কার লাগবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর তৎকালীন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা করে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। ডাকসু হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

এ সময় নুর বলেন, ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী সাদ্দাম-সনজিতের নেতৃত্বে হামলা হয়েছিল। সেদিন ঢাবির প্রক্টরকে কল দিয়েও আমরা সহযোগিতা পাইনি, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলাগুলোর পিছনে ঢাবির প্রক্টর গোলাম রব্বানী ছাত্রলীগকে সহযোগিতা করত।

ঢাবির প্রক্টর শিক্ষক নামের কলঙ্ক, একজন বিকৃত মনের মানুষ। ছাত্রলীগের সব অপকর্মের দায় এই গোলাম রব্বানী ও সাবেক ভিসি আখতারুজ্জামানকে নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুমে শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবনযাপন করে। সেখানে পড়াশোনা করে কেউ কেউ বিসিএস ক্যাডার হয়। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবার এতো খারাপ, যে খাবার খেলে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও খাবারের ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সারা দেশে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। আগামীতে দেশের নেতৃত্বে তরুণরাই নেতৃত্ব দেবে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, শুধু ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এদেশীয় র’-এর এজেন্ট কুখ্যাত মাফিয়া সাদ্দাম ও সনজিতের নেতৃত্বে ডাকসুতে নারকীয় হামলা করে জঙ্গি সংগঠন ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

বিচারহীনতার ৫ বছর। আজও আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। সে সময় পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল, কোনো হামলা হয়নি, হালকা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।

এ ছাড়া তিনি বলেন, ওই সময় শিক্ষক নামের কলঙ্ক প্রক্টর গোলাম রব্বানীকে কল দিলে, সে বলে, বন্ধ ক্যাম্পাসে কেন এসেছি? তাকে বারবার কল দিলেও সে আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। সাবেক উপাচার্য আক্তারুজ্জামানেরও ইন্ধন ছিল।

এসব শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করতে হবে, যারা হামলা করেছে, এদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। অবৈধভাবে যারা ডাকসুতে বিজয়ী হয়, তাদের ডাকসু পদ বাতিল করতে হবে এবং ডাকসু নির্বাচনের তদন্ত হতে হবে।

যে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের হত্যা, নির্যাতন করেছে, এদের নাম মুছে ফেলতে হবে উল্লেখ করে রাশেদ খাঁন বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে অনেক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, ছাত্রলীগের ক্যাডার প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে চাকরি করে। এদের সবাইকে চাকরিচ্যুত করতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সভাপতি সানাউল্লাহ ও সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম। আলোচনা সভায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ ও অর্থনীতির শিক্ষক রাশাদ ফরিদী।

এছাড়াও বক্তব্য দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ডাকসু হামলায় আহত ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, সাবেক ছাত্রনেতা আবু হানিফ, মাহফুজুর রহমান খান, মনজুর মোর্শেদ মামুন, বরিউল হাসান প্রমুখ।

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টার সামনে নির্বাচনের সময় নিয়ে বৈঠকে ‘তর্কে’ জড়ালেন সালাহউদ্দিন ও নাহিদ

বিএনপির পক্ষ থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিএনপি ৩১ ডিসেম্বরের এক দিন পরেও জাতীয় নির্বাচন মেনে নেবে না। সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্য সব সংস্কার এক মাসেই সম্ভব।”

নিউজ ডেস্ক

০৩ জুন ২০২৫, ১৮:১৭

রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সোমবার (২ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এই আলোচনা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আলোচনার শুরুতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি প্রতিদিন যেসব বৈঠক করি, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই আপনাদের সঙ্গে বসে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলাপ করার সময়। এখানেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রচিত হচ্ছে।”

আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল প্রয়োজনীয় সংস্কার নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়নের রোডম্যাপ ঠিক করা। তবে আলোচনা ঘুরে দাঁড়ায় নির্বাচন কবে হবে, সেই সময়সূচি নিয়ে বিতর্কে।

বিএনপির পক্ষ থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিএনপি ৩১ ডিসেম্বরের এক দিন পরেও জাতীয় নির্বাচন মেনে নেবে না। সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্য সব সংস্কার এক মাসেই সম্ভব।”

এরপর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ মন্তব্য করেন, “কিছু দল ভারতের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়।” এ বক্তব্যে তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইলে সেটা যদি ভারতের সুর হয়, তাহলে যারা নির্বাচন পেছাতে চায়, তারা কি যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের সুরে কথা বলছে?”

এই বক্তব্যে বৈঠকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এনসিপি ও বিএনপির প্রতিনিধিদের মধ্যে তীব্র বিতণ্ডা শুরু হয়।

বৈঠক শেষে সালাহউদ্দিন বলেন, “নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।” অন্যদিকে, এনসিপি নেতা নাহিদ বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে সংস্কার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।”

আলোচনায় অংশ নেওয়া নেতাদের মতে, আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল সংস্কার, কিন্তু বাস্তবে বিতর্ক আবর্তিত হয়েছে নির্বাচন সময়সূচিকে ঘিরে।