রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

এবার দ্রুত নির্বাচনের পথে হাটছে জামায়াত ইসলাম

‘আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন’, ‘নির্বাচন নিয়ে তাড়াহুড়ো নয়’—শুরুর দিকে এমন কথা বললেও জামায়াতের নীতিনির্ধারকদের নির্বাচনের দাবি জানানোর ঘোষণায় নড়েচড়ে বসেছেন দেশের রাজনীতিক বোদ্ধারা। তারা বলছেন, জামায়াতের ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচন চাওয়ার বিষয়টি আরও জোরালো হলো। এর মাধ্যমে দেশের মূলধারার প্রায় সব দলের অভিলাষ প্রকাশিত হয়েছে যে যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তী সরকার যেন নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক […]

নিউজ ডেস্ক

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১

‘আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন’, ‘নির্বাচন নিয়ে তাড়াহুড়ো নয়’—শুরুর দিকে এমন কথা বললেও জামায়াতের নীতিনির্ধারকদের নির্বাচনের দাবি জানানোর ঘোষণায় নড়েচড়ে বসেছেন দেশের রাজনীতিক বোদ্ধারা। তারা বলছেন, জামায়াতের ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচন চাওয়ার বিষয়টি আরও জোরালো হলো।

এর মাধ্যমে দেশের মূলধারার প্রায় সব দলের অভিলাষ প্রকাশিত হয়েছে যে যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তী সরকার যেন নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের। বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যু এবং রক্তদানের ফসল হিসেবে ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের প্রায় সাড়ে চার মাস পার হয়েছে।

সরকার গঠনের শুরু থেকেই বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে অন্তর্বর্তী সরকার।

তবে শুরু থেকেই দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। পাশাপাশি বৃহত্তম ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামী দাবি জানিয়েছিল, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যেন নির্বাচনী রোডে পা বাড়ায় সরকার। তবে কয়েকদিন ধরে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বক্তব্য-বিবৃতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন।

বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে গত শুক্রবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানান জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছে। সুস্পষ্ট কথা এখনো বলেনি। সংস্কার দ্রুত এগিয়ে নিন। ক্রমান্বয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণাটাও দিয়ে দিন। ঘোষণা হলে মানুষের মধ্যে একটি আস্থা তৈরি হবে। এ সরকারের কেউ যদি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতে চান, তাহলে তাদের এ সরকার থেকে চলে যাওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

এর পরের দিন গত শনিবার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানান জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আয়োজিত এক যুব সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ‘সম্ভব’, যদি তারা আংশিক সংস্কার করেন। আমরা মনে করি, তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সংস্কার করা সম্ভব। এরপর এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন আয়োজন করবেন—এটিই জাতির প্রত্যাশা ও জামায়াতে ইসলামীর দাবি।

জামায়াত নেতাদের নির্বাচনী দাবি এবং দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বিলম্বে হলেও অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন নিয়ে জনগণকে একটা ধারণা দিয়েছে।

সুনির্দিষ্ট না হলেও এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনের একটা আউটলাইন পাওয়া গেল। আমরা মনে করি, নির্বাচন পর্যায়ে এই সরকারের একটা অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। এটাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছি।

এখন সরকারের সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো আছে, সেগুলো ফেস করে জনগণকে দেওয়া ধারণার ওপর তাদের দৃঢ় থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, সব সংস্কার এই সরকারের পক্ষে করা সম্ভব হবে না। এটি দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে যে সংস্কারগুলো দরকার, সেগুলো অবশ্যই করতে হবে।

দ্রুত সময়ে নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সেই সংস্কার করা এবং তাদের ঘোষিত ধারণার মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া। সরকারের জন্য এটা আমরা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করি। সে লক্ষ্যেই সরকারের কাজ করা উচিত। জামায়াতে ইসলামী এবং জনগণ এ ব্যাপারে সরকারকে সহযোগিতা করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন দুই-চার মাস আগে কিংবা পরে হওয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া। সরকারকে সময় দিলাম; কিন্তু নির্বাচন ২০১৪, ১৮ কিংবা ২৪-এর মতো হলো, এতে তো কোনো লাভ নেই। তাই নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং ফেয়ার ইলেকশনের পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ।

৩০ অক্টোবর ২০২৫
poll_title
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট প্রশ্নে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ১১৫৮৫

রাজনীতি

বিএনপি নেত্রী নিলুফার মনিকে ক্ষমা চাইতে হবে, না হলে ব্যবস্থা নেবে ছাত্রশিবির

য়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অথচ নিলুফার মনি ক্ষমতাসীনদের অপরাধ আড়াল করতে নির্জলা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। তিনি আসলে আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগের সীমাহীন খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের দায় এড়াতে শিবিরকে বলির পাঁঠা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন

নিউজ ডেস্ক

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৩

বিএনপি নেত্রী নিলুফার চৌধুরী মনির বক্তব্যকে ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ঘৃণ্য অপপ্রচার আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, আদালতের রায়ে প্রমাণিত সত্য হলো—বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অথচ নিলুফার মনি ক্ষমতাসীনদের অপরাধ আড়াল করতে নির্জলা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। তিনি আসলে আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগের সীমাহীন খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের দায় এড়াতে শিবিরকে বলির পাঁঠা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে জনগণের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তিনি কি পতিত ফ্যাসিস্টদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন?

শিবিরের নেতারা আরও বলেন, গত ১৬ বছরে সংগঠনের ১০১ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ২০ হাজারেরও বেশি মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়েছে, সাতজন এখনো গুম রয়েছে। এই সময়ে ছাত্রলীগই ক্যাম্পাসগুলোতে দাপটের সঙ্গে খুন, ধর্ষণ, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি চালিয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশ্বজিতকেও শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ভয়াবহ নজির সৃষ্টি করেছে ছাত্রলীগ। অথচ এই সব অপরাধ অস্বীকার করে নিলুফার মনি আজ শিবিরকে দোষারোপ করছেন। এটি নিছক মিথ্যাচার নয়, বরং দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করার নগ্ন ষড়যন্ত্র।

তারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবিলম্বে এই অসত্য বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় ছাত্রশিবির আইনিভাবে কঠোর জবাব দেবে। দেশের মানুষ এখন খুব ভালো করেই জানে কারা আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে এবং কারা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত করেছে।

৩০ অক্টোবর ২০২৫
poll_title
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট প্রশ্নে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ১১৫৮৫

রাজনীতি

হামলার আগে সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুরকে ফোনে হুমকি দেয় : জাহের

“হামলা আগে সেনা প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর কে ফোনে হুমকি দেয়”- এমন অভিযোগ করেন গণঅধিকার উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুর জাহের। এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে জাহের বলেন,”নুরুল হক নুরের উপর হামলার আগে সেনাবাহিনী প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর ভাইকে ফোন দেয়, জাতীয় পার্টি এবং জিএম কাদেরের বিষয়ে কিছু না বলার জন্য বলে।” […]

হামলার আগে সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুরকে ফোনে হুমকি দেয় : জাহের

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

৩০ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১২

“হামলা আগে সেনা প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর কে ফোনে হুমকি দেয়”- এমন অভিযোগ করেন গণঅধিকার উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুর জাহের।

এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে জাহের বলেন,”নুরুল হক নুরের উপর হামলার আগে সেনাবাহিনী প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর ভাইকে ফোন দেয়, জাতীয় পার্টি এবং জিএম কাদেরের বিষয়ে কিছু না বলার জন্য বলে।”

“নুর ভাই স্পষ্ট করে বলে, জাতীয় পার্টি এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান আগের মতই। তখন বিগ্রেডিয়ার শামস এটার ফল ভালো হবে না বলে নুর ভাইকে থ্রেট করে।”

এর কিছুক্ষণ পরেই আজকের হামলার মূল হোতা ক্যাপ্টেইন রাকিবের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা শুরু হয়। নুর ভাই আমাদের কার্যালয়ের সামনে প্রেসব্রিফিংয়ে ছিল। সেনাবাহিনী এবং পুলিশ কোনপ্রকার কথা ছাড়াই নুর ভাইকে হ/ত্যা/র উদ্দেশ্যে হামলা করে।

আমাদের কার্যালয়ের ভিতরে আমাদের আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি টয়লেট ভেঙ্গেও নেতাকর্মীদের উপর হা/ম/লা করে সেনাবাহিনী।

ওয়াকারের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস কার নির্দেশে আজ নুরুল হক নুরকে হুমকি দিয়েছে? জাতীয় পার্টির এবং জিএম কাদেরকে কার স্বার্থে প্রতিষ্ঠা করছে সেনাবাহিনী?

আজ নুরুল হক নুরের উপর আপাতত দৃষ্টিতে সেনাবাহিনীর হামলা করলেও মূলত পতিত সরকারই এই হামলার মাস্টার মাইন্ড।

লিখে রাখুন, আজ নুরুল হক নুর! কাল হাসনাত! পরশু আরেকজন।
এভাবেই পতিত সরকার ২৪এর প্রতিশোধ নিবে।

৩০ অক্টোবর ২০২৫
poll_title
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট প্রশ্নে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ১১৫৮৫

রাজনীতি

রুদ্ধদ্বার বৈঠকে গোপন সিদ্ধান্ত বিএনপির, ১৫০ প্রার্থীকে সবুজ সংকেত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘ এক বছরের যাচাই-বাছাই ও বিভাগীয় পর্যায়ের একাধিক বৈঠকের পরও সব আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। তবে দলটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন প্রার্থীকে মনোনয়নের সবুজ সংকেত দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বিএনপি এবার একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬০ আসনে […]

নিউজ ডেস্ক

২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৩৪

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘ এক বছরের যাচাই-বাছাই ও বিভাগীয় পর্যায়ের একাধিক বৈঠকের পরও সব আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। তবে দলটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন প্রার্থীকে মনোনয়নের সবুজ সংকেত দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপি এবার একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬০ আসনে নিজেদের প্রার্থী দিতে এবং শরিকদের জন্য ৪০ আসন ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বিএনপির জোটে যুক্ত হলে তাদের জন্য ৮টি আসন রাখার বিষয়েও আলোচনা চলছে।

এক বছর আগে থেকেই সারাদেশে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করে বিএনপি। প্রথমে প্রায় ৯০০ সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা তৈরি করে তা লন্ডনে হাইকমান্ডে পাঠানো হয়। সেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই প্রার্থীদের যোগ্যতা, জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক ভূমিকা যাচাই করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্তের গতি বাড়ায়। গত ২৬ ও ২৭ অক্টোবর গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিভাগভিত্তিক মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

তারেক রহমান বৈঠকে বলেন, “এই নির্বাচন বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যাকে যেখানে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। কোনো বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না।”

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, প্রার্থী নির্ধারণের বিভাগীয় বৈঠক শেষ হয়েছে, এখন মূল লক্ষ্য দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য নিশ্চিত করা।

বর্তমানে বিএনপি প্রায় ৪০টি সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তবে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে শরিকদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। ফলে, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন তালিকা ও জোট গঠনের রূপরেখাই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।

৩০ অক্টোবর ২০২৫
poll_title
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট প্রশ্নে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ১১৫৮৫