গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, এই সরকারের প্রতি আমাদের ক্ষোভ আছে, রাগ আছে। প্রয়োজনে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবো।
আমাদের দাবি আদায়ে বাধ্য করবো। কিন্তু এখনই ফেলে দিতে হবে, এই সরকারকে চলে যেতে হবে, এই লাইনে যাওয়া যাবে না। এ সরকারের জনগণের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
জনগণের বাইরে গেলে, জনসমর্থনের বাইরে গেলে তারা এক সপ্তাহ টিকে থাকতে পারবে না।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ কর্তৃক ‘ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্য বিরোধী’ জাতীয় যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাকসু’র সাবেক এই ভিপি বলেন, বাংলাদেশে আজকে সমগ্র রাজনৈতিক দল দাবি জানিয়েছে, বিগত ১৬ বছরে শেখ হাসিনার আমলে ভারতের সাথে যে-সকল অন্যায্য এবং দেশ বিরোধী চুক্তি হয়েছে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা।
একই সাথে বাংলাদেশের মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা সেটি ভারতকে জানিয়ে দেওয়া। ভারত যদি আমাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে চায়, বন্ধুত্ব করতে চায়, সেই সম্পর্ক হবে দু’দেশের মানুষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ ও ভারতের যে ৫৪টি অভিন্ন নদী, সে ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বাংলাদেশ পায়নি। কাজেই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো, প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালত থেকে শুরু করে জাতিসংঘের দ্বারস্থ হন।
কিন্তু, আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা এবং তিস্তা চুক্তি আমাদেরকে বাস্তবায়ন করতে হবে। ভারত যদি তিস্তা চুক্তিতে সায় না দেয়, প্রয়োজনে আপনারা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন।
একইসাথে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ প্রতিদিন মানুষকে গুলি করে হত্যা করছে৷ আমরা বলতে চাই, সীমান্তে একজন বাংলাদেশির লাশ পড়লে আপনারা (বিজিবি) পাল্টা দু’টো লাশ ফেলবেন
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোরও সংস্কার জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং গণতান্ত্রিক জোট না থাকে তাহলে তার মধ্যে ক্ষমতার লোভ পেয়ে বসবে। কাজেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রসারিত করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার করার প্রয়োজন আছে।