শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

মায়ের সাথে জানুয়ারীতেই দেশে ফিরতে চান তারেক রহমান

আগামী জানুয়ারিতে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দিনতারিখ চূড়ান্ত না হলেও নতুন বছরের শুরুতেই তাঁর দেশে ফেরার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের শীর্ষনেতার দেশে ফেরা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় এদিন দল ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে বিশাল শোডাউনের আয়োজন করা হবে। সারা দেশ থেকে আসা মানুষের ঢল নামবে মহানগরীতে। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বাসভবন […]

নিউজ ডেস্ক

০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:২৭

আগামী জানুয়ারিতে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দিনতারিখ চূড়ান্ত না হলেও নতুন বছরের শুরুতেই তাঁর দেশে ফেরার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের শীর্ষনেতার দেশে ফেরা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় এদিন দল ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে বিশাল শোডাউনের আয়োজন করা হবে।

সারা দেশ থেকে আসা মানুষের ঢল নামবে মহানগরীতে। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বাসভবন পর্যন্ত লাখো নেতা-কর্মী ও সমর্থক স্বাগত জানাবেন তাদের এ প্রিয় নেতাকে। সেদিন রাজধানীতে ‘মহাসমাবেশ’ আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। প্রায় ১৭ বছর বিদেশে অবস্থানের পর দেশে ফিরে সেই মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তারেক রহমান।

দলের একাধিক নির্ভরযোগ্যসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পালাবদলের পর যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল ও মাঠ পর্যায়ের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থক। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে ফেরার পথ উন্মুক্ত থাকলেও ফেরেননি দলের এ কান্ডারি।

এরই মধ্যে মুক্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একের পর এক রাজনৈতিক মামলা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। সর্বশেষ গতকাল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে খালাস পেলেন তিনি।

এ মামলায় বিচারিক (নিম্ন) আদালতের রায়ে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদে র রায় দেওয়া হয়েছিল। বাকি রাজনৈতিক মামলাগুলো থেকেও আগামী এক মাসের মধ্যে তিনি মুক্ত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দলের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দেশে থেকেই দল ও জোটের নেতৃত্ব দেবেন।

এ বিষয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘সব মামলা প্রত্যাহারের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খুব তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে আসবেন।’ তিনি বলেন, ‘বিগত দিনগুলোয় আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। আশা করি তিনি আমাদের মাঝে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘তারেক রহমান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তাদের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বর্তমানে লন্ডন সফররত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে মামলাগুলোর নিষ্পত্তি ও তাঁর দেশে ফেরার বিষয়ে কথা বলবেন।

ফলে তিনি দ্রুতই দেশে ফিরবেন বলে আশা করছি।’ স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘শিগগিরই দেশে ফিরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তারেক রহমান বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন। সমগ্র বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে তাঁর আগমনের অপেক্ষায়।’

আরও চার মামলায় তারেক রহমানের সাজা বহাল : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল খালাস পেলেন বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায়। বর্তমানে অর্থ পাচার, দুর্নীতি, মানহানিসহ আরও চার মামলায় তাঁর সাজা বহাল রয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মতো বাকি মামলাগুলোতেও তারেক রহমান ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করছেন তাঁর আইনজীবী।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে জামিনে মুক্তি নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেই থেকে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। ২০০৭ সাল থেকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পর্যন্ত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অন্তত ৮৪টি মামলায় হয়। এর মধ্যে পাঁচটিতে সাজা হয় তাঁর। আর খারিজ, খালাস ও অব্যাহতি পেয়েছেন ৩৯ মামলায়।

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল  বলেন, ‘তারেক রহমান আরও মিথ্যা, সাজানো চার মামলায়।

যেভাবে ন্যায়বিচার পেয়েছেন বাকি চার মামলায়ও আশা করছি ন্যায়বিচার পাবেন।’ তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৪টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০-৬৫টি মানহানির। ইতোমধ্যে ৩৯টি মামলায় খালাস, খারিজ ও চার্জশিট থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।’

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৭৪

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৭৪

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৭৪

রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টার সামনে নির্বাচনের সময় নিয়ে বৈঠকে ‘তর্কে’ জড়ালেন সালাহউদ্দিন ও নাহিদ

বিএনপির পক্ষ থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিএনপি ৩১ ডিসেম্বরের এক দিন পরেও জাতীয় নির্বাচন মেনে নেবে না। সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্য সব সংস্কার এক মাসেই সম্ভব।”

নিউজ ডেস্ক

০৩ জুন ২০২৫, ১৮:১৭

রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সোমবার (২ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এই আলোচনা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আলোচনার শুরুতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি প্রতিদিন যেসব বৈঠক করি, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই আপনাদের সঙ্গে বসে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলাপ করার সময়। এখানেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রচিত হচ্ছে।”

আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল প্রয়োজনীয় সংস্কার নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়নের রোডম্যাপ ঠিক করা। তবে আলোচনা ঘুরে দাঁড়ায় নির্বাচন কবে হবে, সেই সময়সূচি নিয়ে বিতর্কে।

বিএনপির পক্ষ থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিএনপি ৩১ ডিসেম্বরের এক দিন পরেও জাতীয় নির্বাচন মেনে নেবে না। সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্য সব সংস্কার এক মাসেই সম্ভব।”

এরপর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ মন্তব্য করেন, “কিছু দল ভারতের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়।” এ বক্তব্যে তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইলে সেটা যদি ভারতের সুর হয়, তাহলে যারা নির্বাচন পেছাতে চায়, তারা কি যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের সুরে কথা বলছে?”

এই বক্তব্যে বৈঠকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এনসিপি ও বিএনপির প্রতিনিধিদের মধ্যে তীব্র বিতণ্ডা শুরু হয়।

বৈঠক শেষে সালাহউদ্দিন বলেন, “নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।” অন্যদিকে, এনসিপি নেতা নাহিদ বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে সংস্কার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।”

আলোচনায় অংশ নেওয়া নেতাদের মতে, আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল সংস্কার, কিন্তু বাস্তবে বিতর্ক আবর্তিত হয়েছে নির্বাচন সময়সূচিকে ঘিরে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৭৪