সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

জম্মু–কাশ্মীরে নতুন করে শুরু হয়েছে জঙ্গি তৎপরতা

ভোটের আগে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবিতে যারা মুখর ছিল, ভারতের সেই শাসক দল বিজেপির কপালের রেখা আবার গাঢ় হতে শুরু করেছে। ভোটের পর নতুন সরকার গঠনের সময় থেকে নতুন করে শুরু হয়েছে জঙ্গি তৎপরতা। হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে চলেছে নতুন করে। তাতে প্রাণহানি ঘটছে। রক্ত ঝরছে। হঠাৎ কেন এই চোরাগোপ্তা আক্রমণ বৃদ্ধি, তা […]

নিউজ ডেস্ক

০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:১০

ভোটের আগে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবিতে যারা মুখর ছিল, ভারতের সেই শাসক দল বিজেপির কপালের রেখা আবার গাঢ় হতে শুরু করেছে। ভোটের পর নতুন সরকার গঠনের সময় থেকে নতুন করে শুরু হয়েছে জঙ্গি তৎপরতা। হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে চলেছে নতুন করে।

তাতে প্রাণহানি ঘটছে। রক্ত ঝরছে। হঠাৎ কেন এই চোরাগোপ্তা আক্রমণ বৃদ্ধি, তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, অতি দ্রুত জম্মু–কাশ্মীর কি ফিরে যাচ্ছে সেই আগের অনিশ্চিত দিনগুলোয়?

দীর্ঘ ১০ বছর পর ভূস্বর্গে বিধানসভার ভোট হয়েছে প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনায়। তিন দফার ভোট পর্ব শেষ হয় ১ অক্টোবর। ভোটের আগে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়ে উঠেছিল শান্তির নিকেতন। ৪ অক্টোবর গণনা শেষে জয়ী হয় ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)। ১৬ অক্টোবর আরও একবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ওমর আবদুল্লাহ্। তার পর থেকে গত রোববার পর্যন্ত ১৯ দিনে ১০টি সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে।

মারা গেছেন ও জখম হয়েছেন একাধিক সেনাসদস্য, সাধারণ মানুষ, পরিচিত চিকিৎসক, পরিযায়ী শ্রমিক ও জঙ্গি। কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন যে শ্রীনগরকে জঙ্গিমুক্ত বলে দাবি করেছিল, সেই শ্রীনগরের ব্যস্ততম এলাকা ট্যুরিস্ট রিসেপশন সেন্টারের সামনে গত রোববার গ্রেনেড হামলায় ১০ জন আহত হন। আচমকাই ফিরে এসেছে ভয়ের বাতাবরণ।

সেই সঙ্গে সন্দেহও। রাজনৈতিক স্তরে প্রশ্ন উঠে গেছে, নতুন নির্বাচিত সরকারকে নড়বড়ে করা, অস্থিতিশীল করে তোলা আচমকা এই সব সন্ত্রাসী হানার উদ্দেশ্য কি না। সে জন্য চক্রান্ত শুরু হয়েছে কি না।

সন্দেহ শুধু সন্দেহের স্তরেই থাকেনি, প্রকাশ্যে সেই সন্দেহ প্রকাশও করে ফেলেছেন ওমরের পিতা এনসির সভাপতি ফারুক আবদুল্লাহ। গত শনিবার শ্রীনগর ও অনন্তনাগ জেলায় দুটি পৃথক ঘটনায় লস্কর–এ–তইবার এক কমান্ডারের মৃত্যু ও চারজন নিরাপত্তারক্ষীর আহত হওয়ার ঘটনার পর ফারুক আবদুল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গিয়ানা বেড়ে গেল। কেন? কেন পরপর এত ঘটনা ঘটছে?

অবশ্যই এর তদন্ত হওয়া দরকার। তিনি বলেন, ‘আমার সন্দেহ হচ্ছে, যারা এই সরকারকে থিতু হতে দিতে চায় না, তারা এই সব কাণ্ড হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা ধরা পড়লে জানা যেত কারা এসব করাচ্ছে। কোনো এজেন্সি ওমর আবদুল্লাহ সরকারকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে কি না। এর তদন্ত করে দেখা দরকার।

ফারুক আবদুল্লাহ কারও নাম করেননি। কিন্তু বিজেপি সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে। দলের জম্মু–কাশ্মীর সভাপতি রবীন্দ্র রায়না বলেন, ‘তদন্তের কী আছে? সবাই জানে কারা এই সন্ত্রাসবাদের হোতা। পাকিস্তান এই অপকর্ম করে আসছে। তাদের বাধা দিচ্ছে আমাদের সেনা ও পুলিশ। প্রত্যেকের উচিত সেনা, পুলিশ ও অন্য নিরাপত্তারক্ষীদের সমর্থন করা।

বিজেপির আরেক নেতা কবীন্দ্র গুপ্ত সরাসরি ফারুকের সমালোচনা করে বলেন, তাঁর মতো মানুষের এমন সন্দেহ করা উচিত নয়। এমন কথাও বলা উচিত নয়। ওমরের সরকারকে কেউ অপদস্থ বা দুর্বল করতে চাইছে না। সীমান্তপার থেকেই এই সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে, সবার তা জানা।

ফারুক অবশ্য একা নন, তাঁর নির্বাচনী শরিক ও ইন্ডিয়া জোটের সদস্য কংগ্রেসও একই ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররাও ফারুকের সুরে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘যা ঘটছে তা খুবই উদ্বেগের বিষয়। ঘটনা ঘটার সময়টা সন্দেহ জাগাচ্ছে। নির্বাচন খুবই শান্তি কেটেছে। নির্বিঘ্নে সবাই প্রচার করেছে। কোথাও কিছু ঘটেনি। অথচ ভোটের পর সরকার গঠনের পর থেকেই শুরু হয়ে গেল তাণ্ডব ? আশ্চর্য এটাই!

জম্মু–কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এবারের ভোটের প্রধান বিষয় ছিল দ্রুত রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো। তাদের প্রত্যাশা ছিল ভোটের আগেই সেই প্রতিশ্রুতি কেন্দ্রীয় সরকার পালন করবে। কিন্তু তা হয়নি। সরকার গঠনের পর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো নিয়ে এক সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়।

দিল্লি এসে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে ওমর আবদুল্লাহ্‌ও ওই দাবি জানিয়ে গেছেন। যদিও কবে সেই দাবি মানা হবে, কবে কেন্দ্রীয় সরকার তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে এখনো কিছু জানায়নি। সরকারি ভাষ্য, উপযুক্ত সময়েই তা করা হবে। সেই সময় কবে আসবে অজানা।

তবে জম্মু–কাশ্মীরের ভারপ্রাপ্ত বিজেপির নেতা রাম মাধব ভোটের পর এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে কিছুটা অর্থপূর্ণ ইঙ্গিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংসদেই সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই প্রতিশ্রুতি অবশ্যই পালিত হবে। তবে দেখতে হবে জম্মু–কাশ্মীরে যেন সেই সব ভয়ংকর দিন আবার ফিরে না আসে।

ওই মন্তব্য এবং শান্তিপূর্ণ ভোটের পর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আবার অশান্ত হয়ে ওঠার মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কি? সেটাই কি রাজ্যের রাজনৈতিক নেতাদের মনে সন্দেহ সৃষ্টির কারণ? তাই চক্রান্ত তত্ত্বের অবতারণা? এত দিন মোটামুটি শান্ত থাকার পর হুট করে সন্ত্রাসী হানা বেড়ে যাওয়ার নেপথ্য কারণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দিক থেকে এখনো কোনা ব্যাখ্যা অবশ্য আসেনি।

জঙ্গি হানা নিয়ে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের এই আবহে সোমবার থেকে শুরু হলো বিধানসভার প্রথম অধিবেশন। প্রথম কাজ স্পিকার নির্বাচন। তারপর উপরাজ্যপালের ভাষণ। দেখার, সেই ভাষণে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো নিয়ে তিনি কোনো আশ্বাস দিতে পারেন কি না। আরও দেখার, রাজ্য দ্বিখণ্ডিকরণ ও ৩৭০ অনুচ্ছেদসহ বিভিন্ন সাংবিধানিক মর্যাদা খারিজের বিরুদ্ধে বিধানসভায় কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় কি না।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৩৪৭

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫

কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিমানযুদ্ধ আধুনিক সময়ের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ ‘ডগফাইট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অংশ নেয় দুই পক্ষের অন্তত ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

সূত্র জানায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো দেশই একে অপরের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু আকাশে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা মহল বলছে, তারা এই পাল্টা আঘাত চালানোর জন্য আকাশে প্রস্তুত রেখেছিল ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তবে এবার কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি, কারণ দুই দেশই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাইলটদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমন আরেকটি সংঘর্ষে পাকিস্তান এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং পাইলট অভিনন্দনকে আটক করেছিল, যার ছবি ও ভিডিও তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তবে এবার দুপক্ষই বিমান যুদ্ধের কৌশল সীমিত রেখেছে শুধু পাল্টা জবাবে, যেন যুদ্ধের আগুন আরও উসকে না ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ এখন আর কেবল স্থল বা জলসীমায় সীমাবদ্ধ নেই—আকাশপথেই এখন গড়ে উঠছে প্রতিরোধের ফ্রন্টলাইন। আর এই সংঘর্ষ তারই একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই রূপ, আঞ্চলিক শান্তির জন্য এক ভয়াবহ বার্তা বহন করে বলেও মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৩৪৭

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার […]

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ০২:০০

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার পাশাপাশি জম্মুর আকাশে লাল শিখা ও ‘প্রজেক্টাইল’ দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মুর বেশ কয়েক জায়গা এবং পাশের শহর আখনুর, সাম্বা ও কাঠুয়ায় হামলা হয়েছে।

আজ পাকিস্তান জানায়, গত রাতে ভারতের নিক্ষেপ করা ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। অপর দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতের সেনাবাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য থেকে পাকিস্তান থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এরপর রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এসব বিস্ফোরণ ঘটল।

ছবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এর ব্রেকিং

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটকের এক বিস্ফোরক দাবি করলো ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৩৪৭

আন্তর্জাতিক

এবার মোদির ভাষণের পরপরই বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউট জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ২৩:১৬

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ সক্রিয়তা নির্দেশ করে, দেখা গেছে পাঠানকোট ও বৈষ্ণদেবীর যাত্রাপথেও। সাম্বা থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট বোঝা যায়—ড্রোন শনাক্ত হতেই ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে, আকাশে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে।

জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, ফলে এলাকাজুড়ে সতর্কতা এবং আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট হয়নি, তবে জনগণের মনে আতঙ্ক ঘনীভূত।

এদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৭-৮টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা। দাসুয়া ও মুকেরিয়া অঞ্চলে এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি। ডেপুটি কমিশনার আশিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, ড্রোন প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত। তবে প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধ শুরু করে এখন কেন নিজ ভূখণ্ডেই ভয় আর লুকোচুরি?

এর আগে রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে মোদি যে ভাষণ দেন, তা ছিল উস্কানিমূলক ও পাকিস্তানবিরোধী। সন্ত্রাস ও পরমাণু হুমকি নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দেন তিনি। বলেন, “টেরর ও টক একসঙ্গে চলবে না,” implying ভারতের নতুন সামরিক পদক্ষেপ আসতে পারে।

মোদি জানান, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে ভারত প্রস্তুত। “নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” তবে বাস্তবতা হলো, ভাষণের কয়েক মিনিট পরেই ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে—প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ।

সরাসরি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে এখন নিজেদের শহরেই ব্ল্যাকআউট—এটাই মোদির তথাকথিত ‘নতুন নর্মাল’? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হুঁশিয়ারি এখন নিজ ঘাড়ে ফিরে আসছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৩৪৭