মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

আন্তর্জাতিক

ভারতের পাঠানো ৩০টি কামিকাজে ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান, নিহত ২

ভারতের পাঠানো ৩০টি ইসরায়েলি নির্মিত কামিকাজে ড্রোন আটক ও ধ্বংস করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (৮ মে) দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (৯ মে) পাকিস্তান আইএসপিআরের বরাতে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ তথ্য জানায়। এসব ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া একটি সামরিক স্থাপনায় ভারতের ড্রোন হামলায় পাকিস্তানি ৪ সেনা আহত হন। তাদের অবস্থা গুরুতর। […]

ভারতের পাঠানো ৩০টি কামিকাজে ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান, নিহত ২

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ১৩:৪৫

ভারতের পাঠানো ৩০টি ইসরায়েলি নির্মিত কামিকাজে ড্রোন আটক ও ধ্বংস করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (৮ মে) দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (৯ মে) পাকিস্তান আইএসপিআরের বরাতে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ তথ্য জানায়।

এসব ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া একটি সামরিক স্থাপনায় ভারতের ড্রোন হামলায় পাকিস্তানি ৪ সেনা আহত হন। তাদের অবস্থা গুরুতর।

বেসামরিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে ভারত এ হামলা চালায়। ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) জানায়, রাওয়ালপিন্ডি, গুজরাত, অ্যাটক, গুজরানওয়ালা, লাহোর, শেখুপুরা, নানকানা, ঘোটকি এবং করাচির মালির জেলাসহ একাধিক শহরের আকাশে এই ড্রোনগুলো শনাক্ত করা হয়।

নিরাপত্তা সূত্র জানায়, পাকিস্তানি সেনারা পান্ডো সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপ্রত্যাশিত গোলাবর্ষণের জবাবে কার্যকরভাবে সাড়া দেয়। নাঙ্গা টাক-এ ভারতীয় ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর ধ্বংস করে এবং অন্যান্য স্থানে গোলাবর্ষণ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এ কারণে ভারত হতাশ হয়ে ড্রোন হামলা চালায় বলে মন্তব্য করে পাকিস্তান আইএসপিআর।

পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আগত ড্রোনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালালে বিভিন্ন এলাকায় উচ্চস্বরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। আইএসপিআর-এর একজন কর্মকর্তা জানান, দেশে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি এই মানববিহীন আকাশযান (ইউএভি) হেরন এমকে-২ ধ্বংস করা হয়েছে। যা ৩৫,০০০ ফুট উচ্চতায় উড়তে পারে। ভারতে এটি হ্যারোপ ড্রোন নামে পরিচিত।

ড্রোনগুলো ইসরায়েলি কারখানায় তৈরি। তবে এর ইঞ্জিনগুলো ব্রিটেনের ইউএভি ইঞ্জিনস লিমিটেড দ্বারা নির্মিত।

পাকিস্তান আইএসপিআরের মতে, কাপুরুষোচিত হামলাগুলো নয়াদিল্লির আতঙ্ক ও কৌশলগত বিশৃঙ্খলার প্রতিফলন। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, ভারতীয় বাহিনী এলওসি-তে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে।

আইএসপিআর আরও জানায়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী শক্তিশালী ও পরিকল্পিত জবাব দিচ্ছে। শত্রুপক্ষের সকল পরিকল্পনা বানচাল করে দিচ্ছে। সফট-কিল (প্রযুক্তিগত) এবং হার্ড-কিল (অস্ত্রভিত্তিক) পদক্ষেপের সমন্বয়ে সকল আগত ড্রোন নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

তবে লাহোরে, ওয়ালটন ওল্ড এয়ারপোর্ট এবং বুরকির কাছে ড্রোন আঘাত হানায় চারজন সেনা আহত এবং সামরিক সম্পদের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। সংবেদনশীল এলাকার কাছে হামলায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। এ কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসেন।

জালো পার্কের কাছে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ এবং এলিট ফোর্স ইউনিট এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। ওয়ালটন এবং শেখুপুরায় ড্রোনগুলো কৃষি জমিতে পড়ে। ফলে বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক আহত হন। গুজরানওয়ালায় বৃহস্পতিবার সকালে দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হলে একটি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করা সম্ভব হয়।

রাওয়ালপিন্ডি এবং অ্যাটকে দুজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। ড্রোনগুলো শহুরে এবং আধা-গ্রামীণ এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। রাওয়ালপিন্ডিতে স্টেডিয়াম রোডের ফুড স্ট্রিটের কাছে একটি দোকানে ধ্বংসাবশেষ পড়ে জানালা ভেঙে দুজন আহত হয়।

এ ঘটনার পর রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সকল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবিস্ফোরিত বোমার আশঙ্কায় নিরাপত্তা কর্মীরা এলাকাটি ঘিরে ফেলে। একই সময় আরেকটি ড্রোন রেস কোর্স গ্রাউন্ডের কাছে একটি আবাসিক ভবনের ওপর পড়ে।

একইভাবে গুজরাটের পীরচাঁদ গ্রামে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। সিন্ধুতে ঘোটকি জেলার সরফরাজ লঘারি গ্রামেও ড্রোন হামলা হয়। ফয়সাল মসজিদের কাছে ড্রোন হামলার একটি মিথ্যা খবর ইসলামাবাদের ডেপুটি কমিশনার ইরফান নওয়াজ মেমন খারিজ করে দেন। তিনি ভুয়ো সাইরেন এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারণার কারণে অপ্রয়োজনীয় আতঙ্ক সৃষ্টির বিষয়ে সতর্ক করেন।

ইসলামাবাদ, লাহোর এবং করাচির কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের অযাচাইকৃত খবর ছড়ানো বা বিশ্বাস করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়। কর্মকর্তারা বলেন, ‘ শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে প্রকাশিত সরকারি বিবৃতির ওপর নির্ভর করুন।’

এমন পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ রয়টার্সকে বলেন, পাকিস্তানের প্রতিশোধ ক্রমশ নিশ্চিত হচ্ছে। আমি এখনও বলব না যে এটি ১০০%। কিন্তু পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে উঠেছে। মনে হচ্ছে, আমাদের জবাব দিতে হবে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৬৮৯

আন্তর্জাতিক

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

ইতিহাসের ভয়ংকরতম ‘ডগ ফাইট’—পাকিস্তান একাই নামাল ১২৫ যুদ্ধবিমান!

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৮ মে ২০২৫, ০৯:৫৫

কাশ্মীর ও পাঞ্জাব সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক বিমানযুদ্ধ আধুনিক সময়ের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ও ভয়াবহ ‘ডগফাইট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানের একটি জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই লড়াইয়ে অংশ নেয় দুই পক্ষের অন্তত ১২৫টি যুদ্ধবিমান, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টার দিকে ভারত যখন আজাদ কাশ্মির ও পাঞ্জাবসহ একাধিক অঞ্চলে বহুপাক্ষিক মিসাইল হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান প্রতিরোধে উঠে দাঁড়ায়। পরমুহূর্তেই আকাশে উড়ে যায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর শতাধিক ফাইটার জেট, এবং আকাশেই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম ভয়াল জবাব—একঘণ্টার সরাসরি বিমানযুদ্ধ, যা এখন উপমহাদেশের নতুন যুদ্ধ বাস্তবতার প্রতীক।

সূত্র জানায়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোনো দেশই একে অপরের আকাশসীমা অতিক্রম করেনি, কিন্তু আকাশে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০ যুদ্ধবিমান।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা মহল বলছে, তারা এই পাল্টা আঘাত চালানোর জন্য আকাশে প্রস্তুত রেখেছিল ১২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তবে এবার কোনো পক্ষই প্রতিপক্ষের ভুখণ্ডে প্রবেশ করেনি, কারণ দুই দেশই স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাইলটদের ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে এমন আরেকটি সংঘর্ষে পাকিস্তান এক ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এবং পাইলট অভিনন্দনকে আটক করেছিল, যার ছবি ও ভিডিও তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল। তবে এবার দুপক্ষই বিমান যুদ্ধের কৌশল সীমিত রেখেছে শুধু পাল্টা জবাবে, যেন যুদ্ধের আগুন আরও উসকে না ওঠে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধ এখন আর কেবল স্থল বা জলসীমায় সীমাবদ্ধ নেই—আকাশপথেই এখন গড়ে উঠছে প্রতিরোধের ফ্রন্টলাইন। আর এই সংঘর্ষ তারই একটি ভয়াবহ উদাহরণ। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই রূপ, আঞ্চলিক শান্তির জন্য এক ভয়াবহ বার্তা বহন করে বলেও মত দিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৬৮৯

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে। রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার […]

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আটক, দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ০২:০০

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম। ‘এবিপি আনন্দ’ সংবাদমাধ্যমটি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মুতে বৃহস্পতিবার একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের সেনা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছে।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক বলেছেন, রাতে সাইরেন বাজার পাশাপাশি জম্মুর আকাশে লাল শিখা ও ‘প্রজেক্টাইল’ দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মুর বেশ কয়েক জায়গা এবং পাশের শহর আখনুর, সাম্বা ও কাঠুয়ায় হামলা হয়েছে।

আজ পাকিস্তান জানায়, গত রাতে ভারতের নিক্ষেপ করা ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। অপর দিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভারতের সেনাবাহিনীর স্থাপনা লক্ষ্য থেকে পাকিস্তান থেকে নিক্ষেপ করা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এরপর রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এসব বিস্ফোরণ ঘটল।

ছবি: ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’ এর ব্রেকিং

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আটকের এক বিস্ফোরক দাবি করলো ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এবিপি আনন্দ’।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৬৮৯

আন্তর্জাতিক

এবার মোদির ভাষণের পরপরই বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলা, ব্ল্যাকআউট জারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়। কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় […]

নিউজ ডেস্ক

১২ মে ২০২৫, ২৩:১৬

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন সোমবার (১২ মে) রাতে জাতির উদ্দেশে যুদ্ধঝাঁঝালো ভাষণ দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে হঠাৎ ড্রোনের আনাগোনা শুরু হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, সেনাবাহিনী তৎপর হয়, আর বেশ কিছু এলাকায় ঘোষণা ছাড়াই ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।

কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের আকাশে লাল রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ, যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হঠাৎ সক্রিয়তা নির্দেশ করে, দেখা গেছে পাঠানকোট ও বৈষ্ণদেবীর যাত্রাপথেও। সাম্বা থেকে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট বোঝা যায়—ড্রোন শনাক্ত হতেই ভারতীয় বাহিনী গুলিবর্ষণ করে, আকাশে আতঙ্কের সঞ্চার ঘটে।

জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী নিশ্চিত করেছেন, সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন উড়তে দেখা গেছে, ফলে এলাকাজুড়ে সতর্কতা এবং আলো নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট হয়নি, তবে জনগণের মনে আতঙ্ক ঘনীভূত।

এদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ৭-৮টি ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে স্থানীয়রা। দাসুয়া ও মুকেরিয়া অঞ্চলে এখন সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট জারি। ডেপুটি কমিশনার আশিকা জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, ড্রোন প্রতিরোধে তারা প্রস্তুত। তবে প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধ শুরু করে এখন কেন নিজ ভূখণ্ডেই ভয় আর লুকোচুরি?

এর আগে রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে মোদি যে ভাষণ দেন, তা ছিল উস্কানিমূলক ও পাকিস্তানবিরোধী। সন্ত্রাস ও পরমাণু হুমকি নিয়ে প্রকাশ্য হুমকি দেন তিনি। বলেন, “টেরর ও টক একসঙ্গে চলবে না,” implying ভারতের নতুন সামরিক পদক্ষেপ আসতে পারে।

মোদি জানান, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে ভারত প্রস্তুত। “নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত।” তবে বাস্তবতা হলো, ভাষণের কয়েক মিনিট পরেই ড্রোন ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে—প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ।

সরাসরি যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে এখন নিজেদের শহরেই ব্ল্যাকআউট—এটাই মোদির তথাকথিত ‘নতুন নর্মাল’? বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হুঁশিয়ারি এখন নিজ ঘাড়ে ফিরে আসছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৬৮৯