ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরোধী দলের প্রধান ইয়ার লাপিদ সেনাবাহিনীতে ইহুদি হারেদি বা অর্থোডক্স সম্প্রদায়ের অনাগ্রহের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, শাসকগোষ্ঠীর মন্ত্রিসভা এই সম্প্রদায়ের ইচ্ছাকে সমর্থন করে রিজার্ভ সৈন্যদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।
ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, ইয়ার লাপিদ ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি সেনাবাহিনীতে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানানো হারেদিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবেন এবং যেসব ব্যক্তি সেনাবাহিনীতে চাকরি করবেন না, তারা মন্ত্রিসভা থেকে এক শেকেলও পাবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, অবৈধ ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই হারেদি সম্প্রদায়ের সামরিক পরিষেবা ইসরাইলের অন্যতম রাজনৈতিক সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ইস্যুতে ডানপন্থী ও বামপন্থী শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে বড় ধরনের বিভাজন তৈরি হয়েছে। অধিকৃত অঞ্চলের ধর্মনিরপেক্ষ ইহুদিদের সঙ্গেও অর্থোডক্স হারেদিদের গভীর মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে।
ধর্মনিরপেক্ষ ও বামপন্থী শিবির চাইছে হারেদিদের জন্য বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবা চালু করতে, অন্যদিকে ডানপন্থীরা এই বাধ্যবাধকতা থেকে হারেদিদের অব্যাহতি অব্যাহত রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বর্তমানে হারেদিরা সামরিক দায়িত্ব পালনে অংশ না নিয়ে ধর্মীয় শিক্ষালয়ে জীবন অতিবাহিত করে।
গাজা যুদ্ধ চলাকালে সেনাসদস্যের চরম সংকটে পড়া ইসরাইলি সরকার বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবা আইন নিয়ে গভীর সংকটে পড়েছে। ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটও সৈন্য ঘাটির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘‘বর্তমানে ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্যের ঘাটতি রয়েছে। এত বড় আকারের ঘাটতির নজির ইতিহাসে খুব কমই আছে।’’
ইসরাইলি দৈনিক ইয়েদিয়ত আহারোনত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের কারণে সেনাবাহিনীকে সতর্কতামূলক সময়সীমা বাড়াতে বাধ্য করা হয়েছে।
এর আগে হিব্রু ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল ‘কান’ এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরাইলি সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণ ছাড়াই গোলানি ও গুয়াতি ব্রিগেডের নতুন সৈন্যদের সরাসরি গাজার যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাচ্ছে। এতে করে বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে ইসরাইলি শাসনব্যবস্থা গাজা যুদ্ধের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকটেও হুমকির মুখে পড়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?